চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘শিক্ষিত তরুণরা কৃষিতে মনোযোগ দিলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হবে’

কোভিড-১৯ এর সময়কালে শিক্ষিত তরুণরা বসে না থেকে কৃষিখাতে যদি মনোযোগ দিতে পারে তাহলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশ অনেক বেশী এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নর্দান ইউনিভার্সিটি আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তারা বলেন, কোভিডকালকেই তরুণদের উচিত কৃষি জাগরণের সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা, তবে এক্ষেত্রে সরকারের উচিত যথেষ্ট সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।

করোনাকালে যখন রাজধানীসহ সারাদেশে যখন লাখ লাখ তরুণ গৃহবন্দি হয়ে আছেন, সেই সময়টাতে এই তরুণেরা যদি দেশের কৃষি নিয়ে ভাবতে পারেন তাহলে কৃষিতে সূচনা হতে পারে নতুন দিগন্তের।

নর্দান ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ’কোভিড ১৯ চলাকালীন গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতির জন্য যুব উদ্যোক্তা’ শীর্ষক ভাচুয়াল সেমিরারে এমনই বক্তব্য উঠে এসেছে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য আলোচকদের কাছ থেকে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি। তরুণ সমাজ কৃষিতে যেতে চান না। কিন্তু আধুনিক কৃষিতে সম্পৃক্ত হতে চান। সেদিকে নজর দিতে হবে। অনেক ছেলেমেয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। কেন চলে যাচ্ছে সেটাও স্টাডি করতে হবে। ছেলেমেয়েদের দেশমুখী, গ্রামমুখী করতে হবে আমাদের।

ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, সারা বিশ্বেই কৃষি একটি সম্ভাবনার খাত। কোভিডকালীন সময়ে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তরুণরা যদি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের সম্পৃক্ত করেন, তাহলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।

সদ্য ঘোষিত বাজেটে ইন্টারনেটের যে দাম বাড়ানো হয়েছে সেটা তরুণ উদ্যোক্তাদের কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় ফেলেছে বলেও মত শাইখ সিরাজের।

তবে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কৃষি এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তরুণদের এগিয়ে নিতে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে বলে মত আলোচকদের।