শহর থেকে নয় বরং গ্রাম থেকেই উন্নয়ন পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। প্রয়োজন শিক্ষায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া। এমন আরো নানা সুপারিশ উঠে এসেছে শিক্ষা বাজেট আয়োজনে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক আর অভিভাকরা বলেছেন, শিক্ষার জন্য প্রয়োজন জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে স্থানীয় পরিকল্পনার যোগসূত্র।
চট্টগ্রাম জেলার বিচ্ছিন্ন জনপদ সন্দ্বীপ। মোহনীয় এক অন্যরূপ এই জনপদের প্রাকৃতিক শোভা মণ্ডিত সন্দ্বীপের হাজী আব্দুল বাতেন হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রাক বাজেট আলোচনার শিক্ষা বাজেট।
গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের সঞ্চলানায় বাজেট আয়োজন প্রথমেই স্থানীয় সমস্যার কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, এখানে প্রধান সমস্যা হলো বাল্য বিবাহ। বখাটে ছেলেরা যেভাবে স্কুল মেয়েদের ইভ টিচিং করছে এর ফলে স্কুলে মেয়েরা আসতে ভয় পাচ্ছে।
এখানে আসা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক ভবনের সংকট।
এমন বিষয়ে আশ্বাস দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেসবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রত্যেক উপজেলার জন্য তালিকা পাঠিয়েছি এ বছরই ৬টি উপজেলার অনুমোদন চলে আসবে। আশা করছি এর ফলে ৬টি আধুনিক নতুন ল্যাব অনান্য উপজেলার মতো এ সন্দ্বীপেও দিতে পারবো।
বাজেট অনুষ্ঠানে এক অভিভাবক বলেন, এখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের উপর তেমন কোন লেখাপড়া নিয়ে প্রতিযোগীতামুলক ভাব নেই।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজার রহমান বলেন, এখানকার এই অবস্থায় প্রথমত শিক্ষকের অভাবগুলো দূর করতে হবে। এ ছাড়া স্থানীয় শিক্ষকরা তাদের পেশাগত নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
বাজেট আলোচনায় গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, চাহিদার সাথে তাল দিতে আমাদের এ সরবরাহটা বাড়ছে না। সাপ্লাইয়ের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট দুর্বল। সেই জায়গায় সবচেয়ে বড় যে জিনিস তা হলো- অর্থের সংস্থান।
তিনি আরো বলেন, আমরা ক্রমাগতভাবে দেখছি শিক্ষা বাজেটে বরাদ্দ কমছে।
এই বিচ্ছিন্ন জনপদে এমন আয়োজন এই প্রথম এমন কথায় শিক্ষার্থীরা বলছে তৃণমুলের সমস্যাগুলো প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ করা হলে তা শিক্ষার জন্যই মঙ্গলজনক হবে।