দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গতকাল রোববার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলামের সই করা এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিধিনিষেধ শিথিল হবে ১১ আগস্ট বুধবার থেকে। এদিন থেকে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। তবে এই শিথিলতার তালিকায় নেই দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রজ্ঞাপনে ৮টি শর্তাবলীতে বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠানের খোলার বিষয়ে নানা বিধিনিষেধ ও করণীয় বলা থাকলেও শিক্ষা খাতের বিষয়ে একেবারেই বলা নেই কিছু। কবে কখন কীভাবে শিক্ষা খাত স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে, তা যেন কেউ জানে না!
দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিভিন্ন গণমাধ্যম তথ্য ও গবেষণা সূত্রে প্রকাশ, বহু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে, কর্মহীন হয়েছেন বহু শিক্ষক-কর্মচারি এবং বহু শিক্ষার্থী হারিয়েছে তাদের শিক্ষাজীবন।
দুটি বড় পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি ও এইচএসসি বিষয়ে সম্ভাব্য তারিখ ও ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ টাইপ নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চললেও ওই পরীক্ষাগুলো নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। উচ্চ শিক্ষাও থেমে আশে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির শর্তের বেড়াজালে। সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন শিক্ষা ফোরামে চলছে নানা সমালোচনা, অনেকে নানা পরামর্শ পেশ করছেন শিক্ষা কার্যক্রম সচল করতে। অনেকে পলিসি মেকারদের দুষছেন, অনেকে রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিদেশে পড়াশোনাকে কটাক্ষ করছেন, অনেকে নানা আন্তর্জাতিক রেফারেন্স হাজির করছেন। সবমিলিয়ে মারাত্মক সঙ্কটে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।
সরকারের সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরেশোরে চলছে। ভ্যাকসিন সংগ্রহ থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে নানা কার্যক্রম ইতিমধ্যে সারাবিশ্বে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। আমাদের আশাবাদ, সরকার শিক্ষা বিষয়েও কার্যকর ও বিকল্প পদ্ধতি বের করবে। যাতে করে ঝুঁকি কমিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড সচল হবে।