শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, এখন থেকে প্রাথমিকের প্রতিটি শিশুই উপবৃত্তি পাবে। এসব কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ঝরে পড়ার হার এক সময় শূন্যে নেমে আসবে বলে আশা করছে সরকার।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০১৫-এর ফলের ওপর ভিত্তি করে এ বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হলো। এতদিন ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হলেও এবার দেয়া হয়েছে ৮২ হাজার ৫০০ জনকে। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে পেয়েছে ৩৩ হাজার আর সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী।
এবার থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের অর্থের পরিমাণ মাসে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৩০০ এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ২২৫ টাকা করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এর ফলে প্রতি শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। পূর্বে বিদ্যালয় থেকে প্রথম সারির কিছু মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতো। বাকি শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পেতো না বলে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো।
২০১০ এর শিক্ষা বৃত্তির আলোকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক বলে গণ্য হওয়ার কথা থাকলেও তা পুরোপুরি বিভাজিত হয়ে তার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বাধীনে আসেনি উল্লেখ করে প্রক্রিয়াটি চলমান বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলছেন, সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভার বাইরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিশু এখন উপবৃত্তির আওতায়।“উপবৃত্তির আওতায় আগে ৭৮ লক্ষ শিক্ষার্থী ছিলো। এটা বাড়িয়ে এবার আমরা ১ কোটি ৩০ লক্ষতে নিয়ে গেছি।”
বৃত্তির হার আগের মতোই আছে জানিয়ে আওতা বৃদ্ধির কথা জানান মোস্তাফিজুর রহমান। বলেন, আগে প্রাক-প্রাথমিকে কোন বৃত্তি দেয়া হতো না। প্রাক-প্রাথমিকের বাচ্চাদেরও আমরা ৫০ টাকা করে এই বৃত্তির আওতায় এনেছি।
“আগে দেখা যেতো কোন স্কুলে ৬০ ভাগ পায়, কোনটায় ৭০ ভাগ পায়, এখন যারাই স্কুলে আসবে সবাই পাবে।”
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd এ পাওয়া যাবে।