জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থীর প্রান্তিক যোগ্যতা শুদ্ধ করে বাংলা পড়া ও লেখার দক্ষতা। কিন্তু গবেষণা বলছে, পাঠ্যসূচিতে অভিধান এখনো নিয়মিত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেনি। অতীতে একটা দীর্ঘ সময় সংস্কৃতিবান্ধব সরকারের অনুপস্থিতিতে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার অনুকূল পরিবেশ না থাকাই এর কারণ বলছেন গবেষকরা।
শব্দের বানান, অর্থ, উচ্চারণ, প্রতিশব্দ, পরিভাষা, প্রতিবর্ণ ও ব্যাকরণ বিষয়ক নির্দেশনা থাকে অভিধানে। বিশ্বের প্রথম অভিধান হয় সেই প্রথম শতকে, গ্রিসে। উপমহাদেশে প্রথম আধুনিক অভিধান হয় সংস্কৃত ভাষায় ১৮২২ সালে যার নাম ‘শব্দ কল্প দ্রুম’।
সময়ের ধারায় একাধিক দ্বিভাষিক অভিধান হিসেবে প্রথমে পর্তুগিজ-বাংলা এবং পরে ইংরেজি-বাংলা অভিধান হয়েছে। তবে রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ-এর সংকলনে প্রথম বাংলা অভিধান ‘বঙ্গভাষাভিধান’ প্রকাশ হয় ১৮১৭ সালে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী জানান, ১৯৩০ সালের দিকে রাজশেখর বসুর সংকলনে ‘চলন্তিকা’ বাংলা অভিধানে নতুন যাত্রার সূচনা করে। রাজশেখর বসুকে আধুনিক বাংলা অভিধানের জনক ধরে অভিধান উন্নয়নের কাজ চলেছে বছরের পর বছর।
১৯৫৫ সালে ঢাকায় বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে পূর্ব বঙ্গে বাংলা সাহিত্য চর্চার ধারাবাহিকতায় অভিধান সংকলনেও নতুন মাত্রা আসে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর তা আরো জোরদার হয়। তবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর অন্য সব জায়গার মতো হোঁচট খায় এ জায়গাটিও।
২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময়কে বাংলা ভাষা চর্চার উৎকৃষ্টকাল বলছে বাংলা একাডেমি। একশ’ দশ বছরের প্রচেষ্টায় বাংলা একাডেমি প্রথম প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও সংকলন প্রকাশ করেছে, যা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলা ভাষায় শুদ্ধ বানান ও উচ্চারণ চর্চায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: