পড়া না শিখলে, নিয়ম-কানুন না মানলে বিভিন্ন উপায়ে শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেয়া হয়। এ বিষয়ে অনেক আইন করা হলেও এখনও বিশ্বের অনেক দেশে বেআইনি কাজটি চলছে। কিন্তু তাই বলে কারাগার!
এস্তোনিয়ার তারতু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউরোপের বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বিখ্যাত গবেষনা সেন্টার আছে। দেশটির নামকরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেন্টারটির ইতিহাসে লুকিয়ে আছে শিক্ষার্থীদের করুণ ও গভীর কষ্টগাথা।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ১৬৩২ সালে এটি ছিলো একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন কারাগার। সুইডেনের রাজা গুস্তাবা অ্যাডোলফাস কারাগারটি নির্মাণ করেছিলেন।
চারশ বছর আগে আজকের এই গবেষণা সেন্টারে বন্দী করে রাখা হতো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের। সেখানে দুইবেলা খাবার ছাড়া আর কিছুই দেয়া হতো না তাদের। ছিলো ছোট্ট একটি কাঠের কমোড।
অমানবিক শাস্তির কাহিনী এখানেই শেষ হয়নি। লাইব্রেরিতে ঠিক সময়ে বই ফেরত না দিলে শিক্ষার্থীদের দু’দিন কখনওবা এক সপ্তাহ আটকে রাখা হতো এই কালকুঠুরিতে।
কারাগারের দেয়ালগুলোতে এখনও রয়ে গেছে বন্দী থাকা শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে আঁকা চিত্র। যা দেখলে সহজেই সবাই বুঝতে পারবে কতোটা বেদনাতর দিন যাপন করেছে সেই শিক্ষার্থীরা।