জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর ও শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকরা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বিভিন্ন বিভাগ ও প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে মিছিলে অংশ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্য অধ্যাপক রাশেদা আখতার। কেননা শিক্ষক লাঞ্ছনা ও উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ সদস্য বিশিষ্ট যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল রাশেদা আখতার সে তদন্ত কমিটির একজন অন্যতম সদস্য।
এর আগে তদন্ত কমিটিতে প্রশাসনপন্থী শিক্ষকদের স্থান দেওয়ায় তা বাতিল করে কমিটির পুনগঠনের দাবি জানিয়ে আসছিলো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বেই অপরাধীদের শাস্তির চেয়ে মিছিলে অংশ নেয়ায় রাশেদা আখতারের তীব্র সমালোচনা করছে শিক্ষার্থীরা।
এসব বিষয়ে জানার জন্য অধ্যাপক রাশেদা আখতারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অপরদিকে মিছিলের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিচে দেওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে।
দেখা গেছে, মিছিলে ব্যানারের ডান পাশের নিচের অংশের এক কোণায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবির পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করেছে। ফলে ব্যানার ধরে এক শিক্ষক যখন সামনের দিকে হাঁটছিলেন তখন তার পায়ে লেগে বঙ্গবন্ধুর ছবির অংশটি বারবার উঁচু হয়ে যাচ্ছিল।
মিছিলের এ রকম একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে অবমাননা করা হয়েছে তা গর্হিত কাজ। আমরা এ ঘটনার ধিক্কার জানাই। এর জন্য তাদেরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’