শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দীর্ঘ দিনের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের আন্দোলন হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। সেই সঙ্গে তারা মনে করছে, সড়কের এ অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই সরকারের।
শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের নিয়মিত বৈঠক শেষে একথা জানান ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন: রাজধানীতে বাসচাচায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা বর্বর হত্যাকাণ্ড। ১৪ দল বিশ্বাস করে এ নৃশংসতম হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দেখেছে কিশোর-সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছে।
নাসিম বলেন: হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বিচারের দবি করছি। সড়কের অব্যবস্থাপনার বিরূদ্ধে মানুষ যে বিদ্রোহ করেছে ১৪ মনে করে এটা অবশ্যই যুক্তিসংগত। এ অব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিচারে আওতায় আনতে হবে।
পরিবহন সেক্টরের অনিয়মের জন্য শ্রমিক ফেডারেশনকে দায়ী করেন আওয়ামী লীগের এ সিনিয়র নেতা। তিনি বলেন: এই পরিবহন সেক্টরে যারা কাজ করে, যারা শ্রমিক নেতৃত্ব দেয় তারা দলমত নির্বিশেষে এক সঙ্গে কাজ করে। আপনারা দেখবেন যারা শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের সরকারী দল, বিরোধী দল, ডান-বাম কিছু নাই। তারা পরিবহন সেক্টরকে এমন একটা অবস্থানে নিয়ে গেছে। নিজেদের স্বার্থে সবাই এক হয়ে যায়। এটার একটা প্রতিবিধান করা প্রয়োজন। আগামী ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই সমস্ত খুনিদের সর্বোচ্চ বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
এটাই যেন সড়কে মৃত্যুর শেষ ঘটনা হয়, এমন প্রত্যাশা করছেন তিনি। বলেন: শিক্ষার্থীরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কোথায় আমাদের দুর্বলতা আছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন: আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি দ্রুততার মধ্যে বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধানের জন্য তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।