শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলা, তাদের কাজে বাধা ও ভাংচুরের দুই মামলায় ১২ শিক্ষার্থীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আইনজীবীরা বলেছেন, বাড্ডা ও ভাটারা থানার ওই মামলার আসামীরা রাজধানীর বেসরকারি ইস্টওয়েস্ট ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় আন্দোলনের সময় গত ৬ আগস্ট রাজধানীর রামপুরায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বাড্ডা ও ভাটারা থানায় মামলা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা, ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে। তদন্তের জন্য দুইদিনের রিমান্ডেও নেয়া হয় তাদের।
রিমান্ড শেষে তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়ার পর আদালতে একাধিকবার জামিনের আবেদন করে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার জামিন আবেদন ছিলো ১২ শিক্ষার্থীর।
জামিন শুনানিতে ছাত্রদের জেলহাজত থেকে আদালতে আনা হয়নি। তবে কয়েকজন ছাত্রের মা-বাবা সিএমএম আদালতে আসেন।
শিক্ষার্থীদের জামিন না দিতে আদালতে পুলিশের আবেদনে বলা হয়েছে, আসামীদের সঠিক নাম-ঠিকানা এবং তদন্তের স্বার্থে আরো তথ্য জানতে তাদেরকে পুনরায় রিমান্ডে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। জামিনে মুক্তি পেলে তারা তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি করার পাশাপাশি পলাতক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষক এক যৌথ বিবৃতিতে কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে গ্রেফতার ছাত্রদের মুক্তি দাবি করেছে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: