হাকিম বাবুল: শেরপুর সরকারি কলেজে শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ, একাডেমি ভবনসহ নানা সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। কমনরুম ও মিলনায়তনের অভাবে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও পাঠ্যক্রমের বাইরের কার্যক্রমও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শেরপুর সরকারি কলেজ। ২০০৫ সাল থেকে চালু হয় স্নাতক। বর্তমানে এখানে ১৪টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ১১টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়। শিক্ষার্থী আছে প্রায় ১৪ হাজার।
তবে সেই তুলনায় শিক্ষক অনেক কম। আবার যে শিক্ষক আছেন তাদের মধ্যে অনেক পদ খালি। অনেকের বিরুদ্ধে অনিয়মিত ক্লাস নেয়ার অভিযোগ আছে। দিন দিন শিক্ষার্থী বাড়লেও সে তুলনায় শ্রেণিকক্ষ নেই। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতার কারণে ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষের। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছেন, শিক্ষকের নতুন ১০৪টি পদ সৃষ্টি ও শুন্যপদ পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে তার যথাযথ ব্যবস্থা এখনো নেয়া হয়নি।
ওদিকে হোস্টেলের অভাবে দুর-দুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বাড়তি অর্থ দিয়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: