চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দেরিতে সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্তি

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চে সংক্রমণ দেখা দেওয়ার ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান। আর এবছর দুই পরীক্ষাই আটকে আছে।

তবে আশার কথা হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ দুই পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমান এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হবে।

১০টি নির্দেশনায় এই দুটি পরীক্ষা বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবক-শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। পরীক্ষা কথন হবে, হলে কীভাবে হবে নাকি অটোপাশ হবে, এসব নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা ছিল তাদের মধ্যে।

ঈদুল আযহার পর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ছাড়ার পাশাপাশি পূরণের কার্যক্রম শুরু হবে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ১২ সপ্তাহে ২৪টি এসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। তারা প্রতি সপ্তাহে দুটি করে এসাইনমেন্ট জমা দেবেন। এইচএসসির পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩০টি এসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। প্রতিটি পত্রে পাঁচটি করে এসাইনমেন্ট করবেন। সপ্তাহে এসব শিক্ষার্থী দুটি এসাইনমেন্ট করবেন। ফলে আগে যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেওয়া হয়েছিল এর মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শেষ করা হবে।

এই দুটি পাবলিক পরীক্ষা দেশের উচ্চ শিক্ষার পাইপলাইন, এগুলো সম্পন্ন হলেই উপরের দিকের শিক্ষা কার্যক্রম অগ্রসর হয়। গেল বছরের ওই দুটি পরীক্ষার পরীক্ষার্থীরা পাশ করলেও তারা উচ্চশিক্ষা তথা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়েও স্থির হয়ে আছে করোনার কারণে। কবে তারা স্বাভাবিক নিয়মে ক্লাস করতে পারবে, তাও অনিশ্চিত!

বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশগুলোতেও করোনা আঘাত হানলেও সেখানে নানা বিকল্প ব্যবস্থায় প্রায় পূর্ণমাত্রায় টিকিয়ে রাখা হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। আমাদের দেশেও রাজধানীসহ জেলা শহরগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে মোটামুটি চলছে। কিন্তু প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সামর্থ্যের অভাবে বিরাট সংখ্যক গ্রামীণ জনপদ শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে। সবমিলিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ইতিহাসের এক নজিরবিহীন জটে আটকে আছে।

ইউনেস্কো-ইউনিসেফসহ নানা সংস্থা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের শিক্ষার বেহাল অবস্থা তুলে ধরেছে। শিশু শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ও শারীরিক-মানসিক নিয়ে নানা শঙ্কা প্রকাশ করেছে। আমরাও বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তিত। আমাদের আশাবাদ, এই সংশ্লিষ্টরা বিশ্বের নানা দেশের কার্যকর ব্যবস্থা দেখে শিক্ষা নিয়ে এবং মাঠ পর্যায়ে জরিপ চালিয়ে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেবেন।