বিকেএসপিতে বিসিবি একাদশ ও জিম্বাবুয়ের দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথমদিনে লড়াই, পাল্টা লড়াই জমল বেশ। এক সেশনে সফরকারীরা এগিয়ে থাকল, তো পরের সেশনে বাংলাদেশের তরুণদের নিয়ে গড়া দলটি ঘুরে দাঁড়াল, দিনশেষে আবারও জিম্বাবুয়ের হাতে লাগাম।
প্রথম সেশনে উদ্বোধনী জুটিতে জেঁকে বসা জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং পরের সেশনে এলোমেলো করে দেন বিশ্বজয়ী অফস্পিনার শাহাদাত হোসেন। শেষ সেশনে সফরকারীদের প্রতিরোধ আসে কার্ল মুম্বার ফিফটিতে।
মঙ্গলবার শুরুতে ব্যাটিংয়ে এসে ৯০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলেছে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসা জিম্বাবুয়ে। তারা উদ্বোধনী জুটিতে শতরান তুলে ফেলেছিল। শেষবেলায় মুম্বা ও এইন্সলের অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটিতে তিনশর কাছে গেছে।
প্রথম ঘণ্টায় বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বলে জিম্বাবুয়ে ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরের ক্যাচ ছেড়েছিলেন আল-আমিন। বিসিবি একাদশের অধিনায়কই পরে এনে দেন প্রথম সাফল্য।
শুরুতে ব্যাটে নেমে জিম্বাবুয়ের ওপেনারদ্বয় এনে দেন ১০৫ রানের জুটি। প্রিন্স মাসভাউরে ও কেভিন কাসুজা যখন হতাশা বাড়াচ্ছিলেন, আল-আমিন এনে দেন ব্রেক-থ্রু, ৭ চারে ৭৭ বলে ৪৫ করা মাসভাউরেকে উইকেটের পেছনে আকবর আলীর গ্লাভসে জমা করিয়ে।
আরেক ওপেনার কাসুজা ৫১ করে আউট না হয়ে স্বেচ্ছায় ফিরেছিলেন সাজঘরে, দলের ঝটপট কয়েকটি উইকেট পতনের পর আবারও নেমে যান ব্যাটিংয়ে। ইমনের হাতে রানআউট হয়ে ফেরার আগে তার নামের পাশে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস।
কাসুজার যাওয়া-আসার মাঝে আরও চার উইকেট তুলে নেয় বিসিবি একাদশ। ব্রিয়ান মাডজিনগানায়ামাকে (১৭) সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল ইসলাম। বিশ্বজয়ী যুবা পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক আকবর।
সেই উইকেটের আগেই অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে (১০) সুমন খানের ক্যাচ বানান শাহাদাত। এ অফস্পিনার পরে এলবিডব্লিউ করেন ১৩ রান তোলা রেগিস চাকাভাকে। এলবিতেই রানের খাতা খুলতে দেননি টিনোটেনডা মুতোমবোডজিকে।
প্রতিরোধ গড়ে সেখান থেকে এগোতে থাকে সফরকারীরা। টিমাইচেন মারুমা ও কার্ল মুম্বা ৪৯ রানের জুটি এনে দেন। সেটি ভাঙেন আল-আমিন। ৩৪ রান করা মারুমাকে রিশাদের ক্যাচ বানান স্বাগতিক অধিনায়ক।
শেষদিকে আর উইকেট তুলতে পারেনি বিসিবি একাদশ। মুম্বা ও এইন্সলের অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটিতে তিনশর কাছে দিনশেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। মুম্বা ৫৪ ও এইন্সলে ২৫ রানে অপরাজিত আছেন।
বিশ্বকাপ জিতে আসা অফস্পিনার শাহাদাত হোসেনের ঘূর্ণি ম্যাজিকে প্রতিপক্ষকে দ্রুত গুটিয়ে দেয়ার আশা জাগিয়েছিল বিসিবি একাদশ। এ ডানহাতি স্পিনার ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে ২ মেডেনসহ ৫ রানে ৩ উইকেট নেন, দিনশেষে মাত্র ৮ ওভার তার নামের পাশে, ১৬ রানে ওই ৩ উইকেটই আছে।
আল-আমিন ২টি, শরিফুল ইসলাম ১টি উইকেট নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ওভার করা লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম ১৯ ওভারে ৭৭ রানে উইকেটশূন্য।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে খেলছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে আসা অধিনায়ক আকবর আলী-সহ শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বাদশ ব্যক্তি তানজিদ হাসান তামিম।