অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে এখন ঘোর কলিকাল! মাঠে-মাঠের বাইরের বিশৃঙ্খলায় একের পর এক দুঃসংবাদ। বোর্ড প্রশাসনের কাঠামোও বেশ নড়বড়ে।
প্রশাসনকে সুস্থির করতে আগে শান্তি আনতে হবে মাঠে। সে সূত্র ধরেই শোনা যাচ্ছে শাস্তি কমিয়ে মাঠে দ্রুতই ফেরানো হতে পারে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ তিন পাপী- সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে। কিন্তু যাদের এই নিয়ে তোড়জোড় তারা কী এত দ্রুতই ফিরতে রাজী?
চলতি বছরের মার্চে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর কিছুদিন বেকারই ছিলেন স্মিথ-ওয়ার্নার। পরে আস্তে আস্তে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। এখন দেশে-বিদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে লিগ খেলেই সময় কাটছে দুজনের।
অস্ট্রেলিয়ান লিগে নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রেড-১ ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছেন দুজন। শনিবার স্মিথ তার দল সাদারল্যান্ড নিয়ে মুখোমুখি হন ওয়ার্নারের দল র্যান্ডউইক-পিটারশামের। সেখানে দুজনকে বেশ হাসিখুশি ভাবেই কথা বলতে দেখা গেছে একে অপরের সঙ্গে। ম্যাচ শেষে মুখে হাসি নিয়েই করমর্দন করেছেন স্মিথ-ওয়ার্নার।
অথচ কিছুদিন আগে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করেই প্রচার হয়েছিল যে, একে অপরকে দেখতে পারছেন না স্মিথ-ওয়ার্নার। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে প্রশ্ন করতেই ওয়ার্নার হাসেন এক চোট। পরে নিষেধাজ্ঞা কমানোর কথা শুনে সেই হাসি আরও বাড়ে।
‘অনেক সংবাদ মাধ্যমই বলেছে আমরা নাকি একে অপরকে দেখতে পারি না। আমি নাকি তাকে (স্মিথকে) ধাক্কা দিয়ে বাসের নিচে ফেলে দিয়েছি!’
‘সত্যিটা হচ্ছে আমাদের দুজনের কাছে এটা দারুণ এক কৌতুক। আমরা দারুণভাবে এটা উপভোগ করি। আমরা নিয়মিত ভাবেই যোগাযোগ করি, সময় সময় একজন আরেকজনকে ফোনে বার্তা পাঠাই।’
‘শাস্তি কমার কথা আমি শুনেছি। কিন্তু সত্যি হচ্ছে আমি ১২ মাসের জন্য মাঠের বাইরে এবং সেটা মেনেও নিয়েছি। ঘরোয়া ক্রিকেট আমাকে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। জানি এখন জাতীয় দলে সুযোগ পেলে একটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হতে পারে। আমি কিংবা স্মিথ তাই এনিয়ে ভাবছি না। এসব শোনার পর একচোট হেসেছি দুজনে।’