প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা সদস্য ও পুলিশ সদস্য নিয়োগকারী হিসেবে আমরা যৌন নির্যাতন ও অপরাধ বন্ধের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করি। এ অভিযোগে আমাদের অবস্থান হচ্ছে জিরো টলারেন্স।
প্রধানমন্ত্রী এসময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের মাঝে যৌন অপরাধ নির্মূলে জাতিসংঘের মহাসচিবের যথাযথ পদক্ষেপের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ভিকটিম সাপোর্ট ফান্ডে ১ লাখ ডলার প্রতীকী চাঁদার ঘোষণা দেন।
সোমবার জাতিসংঘ সদর দফতরে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে যৌন নির্যাতন ও অপরাধ দমন শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
যৌন অপরাধ প্রতিরোধে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সবসময় এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগের সঙ্গে জড়িতদের তাদের নিজ খরচে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের ভাতা বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিয়োগপূর্ব প্রশিক্ষণে যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে সুরক্ষাকে একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।ি
এসময় প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের ২ লাখ নারীর ওপর নির্যাতনের জঘন্য অপরাধের কথা উল্লেখ করেন। মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত এই নারীদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় পদক্ষেপের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ওই নারীদের বীরাঙ্গনা খেতাব দিয়েছেন। আমরা এই হিংস্র অপরাধের সঙ্গে জড়িত দালালদের বিচার করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করেছি।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃতা দেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সভাপতি মিরসলভ লাজকাক বক্তৃতা করেন।
এ ছাড়া ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নানিস্টো, উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট তাবরে ভাজকুয়েজ, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম ডেসালেগন বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতন সম্পর্কিত অপরাধ দমনের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রদর্শিত হয়।