বঙ্গ রাজ্যে যে ক’জন রানী আছেন, সবার বড় হচ্ছেন শানারৈ দেবী শানু ওরফে ‘বড়রানী’। রানী মহলে সবাই তাকে মানেন। ভেতরে ভেতরে অনেকেই হিংসা করলেও সামনা-সামনি সবাই ভীষণ শ্রদ্ধা করেন। শুধু তাই নয়, মহারাজার কাছে বড়রানীর আলাদা কদর রয়েছে। রাজা সবসময় মনে করেন, বড়রানী যদি পাশে থাকে, একহাত ধরে রাখে তবে পৃথিবী জয় করা সম্ভব।
এমনটাই দেখা যাবে, পৌরাণিক গল্পে চ্যানেল আই এর মেগা টিভি সিরিজ ‘সাত ভাই চম্পা’তে। যেখানে বড়রানী হয়ে হাজির হচ্ছেন লাক্সতারকা শানু। তার ভাষ্য, বড়রানী হচ্ছে রাজার একটা মানসিক শক্তি, অনুপ্রেরণার উৎস। রাজা নিজের মুখে এটা বলেছেন, বড়রানী তুমি আমার একহাত ধরে থাকলে আমি পৃথিবী জয় করতে পারব। সেজন্য মহারাজ যখনই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, বড়রানী হয়ে রাজাকে শক্তি দেই।
শানু বলেন, সাত রানী রঙধনুর সাত রঙে রাঙানো। এরমধ্যে আমি বড়রানী অল্পভাষী। তার মধ্যে কিছু দুঃখ আছে। কারণ, রাজ্যের ভবিষ্যৎ জন্ম দিতে হবে, যার জন্য অন্যান্য রানীরাও আছে। মহারাজের সব রানীদের মধ্যে যে সন্তান জন্ম দেবে তিনি হবেন ‘পাট রানী’। এছাড়া গল্প অনেক টুইস্ট রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এটি আমাদের দেশিয় প্রোডাকশন।
এই ধরনের রানীর চরিত্র নিয়ে এবারই প্রথমবার হাজির হচ্ছেন শানু। বললেন, মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। আর যখনই সেটে চলে আসতাম, মেকআপ, গেটআপ, অলংকার নিয়ে ক্যামেরার সামনে আসতাম তখনই নিজের কাছে রানী মনে হতো। তাছাড়া যে সেটে কাজ করা হয়েছে সেটা রাজ দরবারের মতো। সবাই সেটে যে চরিত্রে কাজ করছে তাকে সেই নামে ডাকা হত।
শানু বলেন, দেশিয় আমেজে রঙিনভাবে সিরিজটা দর্শকরা দেখতে পাবেন। ক্যামেরা, ভিএফএক্স, কোটি টাকা সেট সবকিছুই ব্যয়বহুল, যেটা দেশের অন্য কোনো নাটক, সিরিয়ালের ক্ষেত্রে করা হয়নি। দর্শকদের অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের জন্য বিরক্তও হবেন না।
আজ থেকে প্রতি সপ্তাহের বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত আটটায় চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রচারিত হবে ‘সাত ভাই চম্পা’। এই মেগা সিরিজটি নির্মাণ করেছেন রিপন নাগ। গল্প তৈরি করেছেন রিপন নাগ ও নাজাকাত খান। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন নাজাকাত খান ও ইমতিয়াজ সজীব। প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। নিবেদন করছে ইমামি সেভেন অয়েলস ইন ওয়ান ড্যামেজ কন্ট্রোল হেয়ার অয়েল।
ছবি: তানভীর আশিক