‘শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস ভুল পথে হাঁটছেন। সন্তানের ভবিষ্যতের চেয়ে তার পিতামাতার ক্যারিয়ার বা রাগ, ক্ষোভ, ইগো বড় হতে পারেনা । টাকা দিয়ে কখনো ভবিষ্যৎ গড়া যায়না।’-ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জনে এভাবেই ফেসবুকে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন ‘লালটিপ’ খ্যাত নির্মাতা স্বপন আহমেদ।
শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ-এর গুঞ্জন এখন সোশাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমেও। শুধু স্বপন আহমেদের মত সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরাই নয়, সাধারণ মানুষেরাও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় মেতেছেন, যেভাবে অপু যখন প্রথমবার ছেলে আব্রাম জয়কে শাকিবের বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন! ইতিমধ্যে বেশকিছু সংবাদপত্র ও অনলাইন মিডিয়া শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদের খবরকে সংবাদে স্থান দিয়েছে। কিন্তু কেউ-ই শাকিব বা অপুর বরাত দিয়ে স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি। শুধু প্রশ্ন রেখে যাচ্ছেন, সত্যিই কি বিচ্ছেদ হতে চলেছে আব্রাম খান জয়ের বাবা-মায়ের?
গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে। খবরটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও অনেকে এমনটা সন্দেহ করছেন বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই। বিশেষ করে এমন গুঞ্জনের সূত্রপাত মূলত ছেলে আব্রাম খান জয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে বলে মনে করছেন অনেকে। কেনোনা গেল ২৭ সেপ্টেম্বর রীতিমত ঢাকঢোল পিটিয়েই ছেলে আব্রাম খান জয়ের প্রথম জন্ম বার্ষিকীতে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন অপু বিশ্বাস। শোবিজ অঙ্গনসহ সাংবাদিকদের বিরাট একটা অংশ এই অনুষ্ঠানে আসলেও দেশে থেকেও যোগ দেননি শাকিব খান। এমনকি জন্মদিনের কার্ডে সেসময় জয়ের বাবা হিসেবে শাকিবের নাম না থাকাটাও বেশ সমালোচিত হয়েছিল।
শুধু ছেলের জন্মদিনেই নয়, এরপর ১১ অক্টোবর ছিলো অপু বিশ্বাসেরও জন্মদিন। আর সেদিনটিতেও স্ত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সাক্ষাত কিংবা শুভেচ্ছা জানাননি শাকিব। ছেলেকে নিয়েই সারাদিন কেটেছে অপুর। আর এসবে অনেকেই মনে করছেন, শাকিব-অপুর প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর অবশিষ্ট নেই। চলতি বছরের এপ্রিলে শাকিব-অপুর বিয়ের খবর ফাঁস হওয়ার পর একসঙ্গে দেখা হয়নি তাদের। শুধু তাই না, শাকিব যা পছন্দ করেন না সেসবই নাকি অপু বেশী বেশী করছেন। আর এসব কারণে ডাবল পারিশ্রমিক দিয়েও অপুর সঙ্গে অভিনয় করাতে কোনো প্রযোজক-নির্মাতা শাকিবকে রাজি করাতে পারেননি। অন্যদিকে শাকিব-অপুর ঘনিষ্ঠসূত্রের খবর, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তাতো তাদের মধ্যে নেই-ই, বরং একজনের মুখও দেখেন না অন্যজন। আর এসব বিষয় চাউর হচ্ছে মিডিয়ায়। যা এখন বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জনে ঠেকেছে।
তবে সত্যিই কি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে মিডিয়াকে খোলাখুলি কিছু বলেননি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। এই নায়িকার সঙ্গে শনিবার দুপুর থেকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি, তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরআগেও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। অন্যদিকে যৌথ প্রযোজনার নতুন একটি ছবির কাজ নিয়ে এখন দেশের বাইরে রয়েছেন শাকিব।
ধারনা করা হচ্ছে, শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে যে জল ঘোলা হচ্ছে তার অবসান হবে কেবল শাকিব দেশে ফিরে এলেই। এখন শুধু শাকিবের জন্য অপেক্ষা! তিনি ফিরে আসলেই কেবল একইসঙ্গে নির্ধারণ হবে আব্রাম খান জয়ের ভাগ্যও! সত্যিই কী জন্মের এক বছর পর তাকে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ দেখতে হবে? এমন প্রশ্ন এখন অনেক সাধারণ ভক্ত অনুরাগীদেরও।