আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলার নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আজকের মধ্যেই এ নথি হাইকোর্টে পাঠাতে বিচারিক আদালতের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট শুনানির প্রেক্ষাপটে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। এবং এ বিষয়ে শুনানি আগামিকাল পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
এর আগে এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম একটি রিট করেন। সে রিটে ওই মামলার বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়।
এ মামলায় প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান এ আলোকচিত্রী।
এর আগে গত ৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহিদুল আলমকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর ৬ আগস্ট পুলিশ তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঢাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে উসকানি দিয়েছিলেন।
পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে, শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার করেছেন। যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছে।
সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শহিদুল আলমকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় জামিন দেন।