রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশের মান উন্নয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন, কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের শর্ত দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেগুলো সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য পেলে ইইউ’র বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধা বা জিএসপি বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউ ডেলিগেশনের ডেপুটি হেড ইয়োগান হেইম্যান।
এ বিষয়ে আগামী ১৮ মে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এবং এর কর্মপরিবেশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওই আলোচনায় এসব শর্ত পূরনের সঠিক তথ্য না পেলে অর্থাৎ নেতিবাচক ফলাফল উঠে আসলে ইউরোপের বাজারে যে অগ্রাধিকার সুবিধা বাংলাদেশ পায়, তাতে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।
‘বাংলাদেশের পোষাক শিল্পে কার্যকর সামাজিক সংলাপের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রানা-প্লাজা দুর্ঘটনার চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার রাজধানীর গুলশানের গার্ডেনিয়া গ্রান্ড হলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।
এ বিষয়ে সংলাপে উপস্থিত থেকে শ্রম সচিব মিকাইল শিপার বলেন, রানা প্লাজা ট্রাজেডির পর সরকার যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। এ খাতে অনেক উন্নতির চেষ্টা চলছে। আশা করি, উন্নয়ন সহযোগীদের এসব বিষয়ে বোঝাতে সক্ষম হব।
সিপিডির সম্মানীত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
অনুষ্ঠানে পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ক্রেতা, উদ্যোক্তা, শ্রমিক নেতা ও সরকারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে না।