ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার পাঁচ জন বিচারকের বেঞ্চ এর আগের যুগান্তকারী রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, তারা শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রত্যেকেরই ধর্ম অনুশীলনের অধিকার আছে। মসজিদে মুসলিম নারীদের প্রবেশের মত মন্দিরে হিন্দু নারীদের প্রবেশ করার অধিকার আছে। তবে রায়টি নারী অধিকার প্রচারকারীদের জন্য ইতিহাসে হতাশার চিহ্ন হয়ে থাকবে। শবরীমালা রায় এক ধাপ এগিয়ে, দু’ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার ঘটনার সাক্ষর বহন করে।
এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল তা পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়ে।
বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় ঘোষণার কথা ছিল দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
গত বছর পাঁচ জন বিচারক রায় দিয়েছিলেন যে, কেরালার শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারী পূণ্যার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধের বিষয়টি বৈষম্যমূলক। তাই ঋতুমতী বয়স অর্থাত্ ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলারাও শবরীমালার ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। এমন রায়ের পর থেকেই সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
সেসময় নারীরা জোর করে মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের ওপর হামলাও করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবারের এমন সিদ্ধান্তের পের কেরালার পুলিশ স্পষ্ট করে বলেছে, যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অনলাইনে ধর্মীয় উত্তেজনা প্রকাশকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে।