রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জল আদালতে আত্নসমর্পণ করেছেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালত-১ এ আত্নসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এমন এক সময় আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল আদালতে আত্নসমর্পণ করলেন, যখন বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক শিক্ষক অধ্যাপক ড.এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে।
২৩ এপ্রিল সকালে ইংরেজী বিভাগের এই শিক্ষককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলনকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আইসিইউ’তে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে গত বছরের ২৩ নভেম্বর জেলা যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ পিন্টুসহ ছয় জনকে আটক করে র্যাব। পরে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আাদলতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এই মামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ১১ জনকে অভিযুক্ত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রে আসা ১১ জন আসামিরা হলেন, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আবদুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ, আল-মামুন, আরিফ, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমা।