চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অভিনব কায়দায় শপিং মলে চুরি করতো নোয়াখালীর নারী চোর চক্র

নোয়াখালী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা নারী চোর চক্রের ৬ জন নারী সদস্যসহ ৭ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৪বস্তা চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছেন- জেলা শহর মাইজদীর নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকার জুলেখা আক্তার (৩৮), জেসমিন আক্তার (৩৮), লক্ষ্মীনারায়নপুর এলাকার সেলিনা আক্তার (২৭), রোকসানা আক্তার (২৫), কাদির হানিফ ইউনিয়নের সফিপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (৩০), মনোয়ারা বেগম তানিয়া (৩৫) ও মাইজদী নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকার জহির আহম্মেদ (৫৫)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালী ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাঈদ মিয়ার নেতৃত্বে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রাত ১২টার দিকে প্রথমে নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় জুলেখার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে একই এলাকা থেকে জেসমিন ও তার স্বামী সিএনজি চালক জহির, লক্ষ্মীনারায়নপুর থেকে সেলিনা, রোকসানা ও সফিপুর থেকে রোজিনা এবং তানিয়াকে আটক করা হয়। পরে ভোরের দিকে সোনাপুর এলাকায় চোর চক্রের দুই সদস্য আজমীরি ও শান্তার বাড়িতে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে গেলেও তাদের বাড়িসহ আটককৃতদের বাড়ি থেকে মোট ১৪বস্তা চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়।

নোয়াখালী ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত নারী চোর চক্রের এসব সদস্য নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা শহরের বড় শপিংমহলগুলোকে টার্গেট করে কাজ করতো। এরা ৭/৮জন একসাথে প্রথমে একটি দোকানে গিয়ে কোন কর্মচারীকে টাকা দিয়ে হাত করে নিতো। পরে তাদের মধ্যে ২/৩জন দোকানের মালিক বা ম্যানেজারের সাথে কথা বলে তাদের ব্যস্ত রাখতো এবং এই সুযোগে অন্য সদস্যরা দোকান থেকে মালামাল চুরি করে নিয়ে কেটে পড়তো।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিস, জুতা ও কসমেটিকস ইত্যাদি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই নারী চোর চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে।