চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শপথ নিলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়করা

স্বাভাবিক হওয়ার পথে এগোচ্ছে ভারতের মহারাষ্ট্র। বুধবার শুরু হল ১৪তম বিধানসভার অধিবেশন। সেখানে একে একে শপথ নেন নবনির্বাচিত বিধায়করা।

এদিন শপথ নেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীশ, এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারসহ অন্যান্য বিধায়করা। সরকার গঠন ও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগেই বিধানসভার অধিবেশন বসার বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র।

এর মধ্যে নির্বাচিত ২৮৮ বিধায়কেরা একে একে শপথ নিচ্ছেন। এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার ছাড়াও ছগন ভুজবল, কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বাণ, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ এবং শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকুরসহ বিধানসভার সমস্ত সদস্যই শপথ নিচ্ছেন।

বুধবার বিধানসভায় শপথ গ্রহণের পর এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার জানিয়েছেন, দল তার সম্পর্কে যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই মাথা পেতে নেবেন।

এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের শপথ গ্রহণ শুরু হয়। বিধায়কদের শপথের জন্য রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারীর আহ্বানে বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। তাদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন প্রোটেম স্পিকার কালীদাস কোলম্বকর।

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার ব্যাপারে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি, এই তিন দলের সমঝোতা যখন প্রায় চূড়ান্ত, তখন শুক্রবার মাঝ রাতে ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ করে বিজেপি।

এনসিপি ভেঙে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীসের হাত ধরেন শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার।

তিনি দাবি করেন, এনসিপির অধিকাংশ বিধায়কই তার সঙ্গে রয়েছেন। এর পর অবিশ্বাস্য দ্রুততায় রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহারের সুপারিশ দিল্লি পাঠান রাজ্যপাল।

নিজের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছাড়াই সেই সুপারিশে সায় দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শনিবার ভোর পৌনে ছ’টায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সইয়ের পরে উঠে যায় রাষ্ট্রপতি শাসন। সে দিনই সকাল আটটায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন অজিত।

সে সময় বিজেপি সূত্র দাবি করে, নিঃশব্দে নেপথ্যে থেকে ‘বাজিমাত’ করেছিলেন দলীয় সভাপতি অমিত শাহ। কিন্তু হাল ছাড়েননি শরদ পওয়ার। শেষমেশ তার কাছেই পর্যুদস্ত হতে হল গোয়া, মণিপুর, হরিয়ানার অঙ্ক।

মহারাষ্ট্রে বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক হল সুপ্রিম কোর্টের রায়। দেবেন্দ্রদের আশা ছিল, রাজ্যপাল যখন ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন, তখন তাতে বাধা হবে না আদালত। কিন্তু শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমস্ত বিধায়কের শপথগ্রহণ সেরে ফেলে সে দিনের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে বিজেপি-কে। ভোটাভুটি হবে প্রকাশ্যে। গোপন ব্যালটে নয়। যা সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে।

এরপরই মঙ্গলবার দুপুরেই একে একে ইস্তফা দেন অজিত ও ফডণবীস। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অজিত সরে যাওয়ার পর তাঁদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বলে জানান ফডণবীস।