বুধবার বসছে বৃক্ষমানব আবুল বাজানদারের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড। এদিন নয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল বৃক্ষমানব আবুল বাজানদারের বাম হাতের শিকড় অপসারণের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করবেন। আর সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী শনিবার হবে আবুল বাজানদারের বাম হাতের শিকড় অপসারণে দ্বিতীয় দফার অস্ত্রোপচার।
বৃক্ষমানবের দ্বিতীয় দফা অস্ত্রপচারের ব্যাপারে এসব কথা জানিয়েছেন, বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক পরিচালক ও বাজানদারের জন্য গঠিত মেডিকল বোর্ডের সম্বয়ক অধ্যাপক ডাক্তার সামন্ত লাল সেন।
তিনি জানান, নয় সদস্যের এই চিকিৎসক দলই রংপুর থেকে বৃক্ষমানব সদৃশ্য উপসর্গ নিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি একই পরিবারের তিন সদস্যকেও পর্যবেক্ষণ করবেন।
বার্ন ইউনিটের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক আবুল কালাম জানিয়েছেন, বুধবার নয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড বসে একই পরিবারের তিন সদস্যের রোগ-লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন। এর পরেই শিশু রুহুল আমীন ও তার বাবা-চাচার চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন তাঁরা।
বৃক্ষ মানব খ্যাত আবুল বাজানদারকে গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাজানদারের প্রথম দফায় সফল অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়।
রংপুরের তিন জন ট্রি-সিনড্রোম এখনো নিশ্চিত নয়
গত বুধবার রংপুরের পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর গ্রাম থেকে ওই তিন জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্হি হন। ওই পরিবারের তিন সদস্য হলেন দুই ভাই যথাক্রমে বাছেত আলী (৫২) তাইজুল ইসলাম (৪২) এবং তাইজুলের ছেলে রুহুল আমীন (৮)। বাছেত ও তাইজুলের বাবা আফসান উল্লাহও বৃক্ষ মানব সদৃশ্য উপসর্গ নিয়ে দীর্ঘদিন রোগ-যন্ত্রনার পর মারা যান।
একই পরিবারের তিন সদস্যের মধ্যে ‘বক্ষমানব’ সদৃশ্য উপসর্গ দেখা গেলেও তারা বিরল ‘হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস’-‘টেন’ জনিত ‘ট্রি-সিনড্রোমে’ আক্রান্ত কি না তা এখই নিশ্চিত নন চিকিৎসকরা। চুড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাছেত আলী তার ভাই তাইজুল এবং তাইজুলের সন্তান রুহুল আমীনের মধ্যে ‘ট্রি-সিনড্রোম’ নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ হবে বিরল চর্ম রোগ ‘বৃক্ষমানব’ আক্রান্ত ও সনাক্ত সর্বাধিক রোগীর দেশ।
এক্ষেত্রে বিরল বৃক্ষমানব খ্যাত ‘ট্রি-সিনড্রোম’ নামের এই রোগের আদ্য-প্রান্ত জানতে বিস্তর গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।