বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সংগীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পর ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার চট্টগ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে তাঁকে।
আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালের মর্গে আছে।
পরিচালক নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ মরচুয়ারিতে রাখা হবে। সন্তানরা বিদেশ থেকে ফিরলে শনিবার চট্টগ্রামে তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টায় স্কয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিসের পরিচালক মির্জা নাজিমউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় তার হার্ট অ্যাটাক হয়। মৃত অবস্থায় সকাল সোয়া ৯টায় তার ড্রাইভার তাকে হাসপাতালে আনেন। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ড্রাইভারের বরাত দিয়ে মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পর তার মুখ থেকে ফেনা উঠতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন এ শিল্পী। সপ্তাহ দুয়েক আগেও একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। আগের পরীক্ষায় তার হার্টের কর্মক্ষমতা ৩০ ভাগে নেমে এসেছিল বলে জানানো হয় হাসপাতালের তরফ থেকে।
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু জন্মেছিলেন ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট। চট্টগ্রামে। সংগীত শিল্পী পরিচয়ের বাইরে তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার।
সংগীত জগতে তার যাত্রা শুরু হয় ‘ফিলিংস’-ব্যান্ডের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে। অত্যন্ত গুণী এই শিল্পী তার শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি (AB) নামেও পরিচিত। তাঁর ডাক নাম রবিন।