চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শনাক্ত হওয়া খুনিদের গ্রেপ্তারে অগ্রগতি কী?

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে নৃশংসভাবে তার স্বামীকে প্রকাশ্যে হত্যা করা নিয়ে রীতিমত তোলপাড় চলছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের শনাক্ত করা হয়েছে।

এই ঘটনার মূল আসামী নয়ন ২০১৭ সালে আরেকজনকে কুপিয়েছিল বলে সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তখন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি বলে হয়তো আবার এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাহস পেয়েছে বলে আমরা মনে করি।

শুক্রবার ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে এক অনুষ্ঠানের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন: এ হতাকাণ্ডে জড়িত আছে এরকম ১৩ জনকে আমরা শনাক্ত করেছি। এ পর্যন্ত একাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিদের কেউ যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য দেশের সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌ-বন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। রিফাত হত্যার আসামিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সেজন্য আগের দিনই সীমান্তে সতর্কতা জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আমরা চাই, অতীত অনেক হত্যাকাণ্ডের মত এই হত্যাকাণ্ডের বিচারও যেন হারিয়ে না যায়। সোস্যাল মিডিয়ার কারণে বা গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকার কারণে ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়া এ ঘটনায় অতি দ্রুত শনাক্ত হওয়া আসামীরা যেন গ্রেপ্তার হয় এবং তাদের বিচারের আদালতে হাজির করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই দৃষ্টান্তের ফলে ভবিষ্যতে সমাজে এ ধরণের কাপুরুষোচিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে দুর্বৃত্তরা সেটা নিয়ে শতবার ভাববে। নাহলে অপরাধীদের কাছে উল্টো বার্তা পৌঁছাবে। যা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। এজন্য শনাক্ত হওয়া আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।