চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শনাক্ত সাড়ে ৯ হাজার, মৃত্যু ১২

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬৮৩তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জন।

এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও নয় হাজার ৫০০ জন। শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের দিন মঙ্গলবার শনাক্ত হয়েছিল আট হাজার ৪০৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জন।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‍বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৭ হাজার ৮৩০টি পরীক্ষায় নয় হাজার ৫০০ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮২ লাখ ১৩ হাজার ১১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৮টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ২৮৯টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৩ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১২ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও দু’জন নারী। তাদের হাসপাতালে (সরকারি আট, বেসরকারি তিন) ও বাসায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ১৭৬ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭২ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৯৩৮ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৪২৬ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ। বাসায় ৭৭৮ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৬। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ১৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং ১০ হাজার ১৬০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ছয় শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত আটজনের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন, ষাটোর্ধ্ব দু’জন, সত্তরঊর্ধ্ব দু’জন, আশিঊর্ধ্ব দু’জন।আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগে দু’জন, রাজশাহী বিভাগে একজন ও সিলেট বিভাগে একজন।

ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৭ কোটি ১১ লাখের বেশি।