চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শনাক্তের হার কমে ৬ শতাংশে, মৃত্যু ৯

করোনাভাইরাস

দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৭১৬তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭৪ জন।

এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯৫১ জন। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আগের দিন রোববার শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৬ জন ও  ‍মৃত্যু হয়েছিল ২১ জনের।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার ‍সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৮ হাজার ৯৭টি পরীক্ষায় ১ হাজার ৯৫১ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৩টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৪টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৪২ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৬৭৪ জনসহ মোট ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৮ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। তাদের হাসপাতালে (সরকারি ৮, বেসরকারি ১ জনের) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ৯৭৪ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে ২৪ হাজার ৫৬৭ জন, যার শতকরা হার ৮৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছে তিন হাজার ৫৯১ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। বাসায় ৭৮১ জন মারা গিয়েছে, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭০। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে ৩৫ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫০৪ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৪৭০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৯ জনের মধ্যে শূণ্য থেকে ১০ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, চল্লিশোর্ধ্ব দু্ইজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন, সত্তোরঊর্ধ্ব একজন ও নব্বইঊর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪২ কোটি ৫৩ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ তিন হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৫ কোটি ১১ লাখের বেশি।