চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শতরানের ক্ল্যাসিক জুটির পরও রংপুরের হার

চট্টগ্রাম থেকে: ৪৫ রানে রংপুরের ছিল না ৪ উইকেট। তবু ঘাবড়ে যাননি ১৯ বছরের তরুণ নাহিদুল ইসলাম। রবি বোপারার সঙ্গে ক্রিকেটীয় ব্যাকরণের সবটুকু পাঠ করে শতরানের জুটি গড়ে রংপুর রাইডার্সকে পথেই রাখেন। কিন্তু শেষ ওভারে নাহিদুল ফিরে গেলে ৯ রানে হেরে যায় মাশরাফীরা।

নাহিদুল রানআউট হওয়ার আগে ৪৩ বলে ৫৮ করেন। বোপারা শেষপর্যন্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

খুলনা টাইটানস এদিন ১৫৮ রান করার পর গেইলকে আটকানোর কৌশল নিয়ে মাঠে নামে। আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক করা গেইল ক্রিজে থাকাকালীন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তোড়জোড় দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছিল, যেকোনো মূল্যে টি-টুয়েন্টির ফেরিওয়ালাকে ফেরাতে চান।

তৃতীয় ওভারে আবু জায়েদকে পরপর দুই বলে ছয়-চার মারার পর রিয়াদের চিন্তা আরও বেড়ে যায়। অফসাইডে ত্রিশগজের ভেতর ফিল্ডার বাড়িয়ে বোলারের কাছে গিয়ে রিয়াদ কিছু একটা বলেন। অধিনায়কের পরামর্শ শুনে অফস্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার মারেন জায়েদ। ত্রিশগজের বাইরে ফাঁকা দেখে লোভ সামলাতে পারেননি গেইল। শেষ মুহূর্তে নিচু হয়ে যাওয়া বলে কাভার ড্রাইভ করতে যেয়ে কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন।

গেইল না পারার দিনে যথারীতি ফ্লপ মাশরাফীদের আরেক নামী ওপেনার ম্যাককালাম। ৪ বলে দুই করে আফিফ হোসেনের বলে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। আগের তিন ম্যাচে তার স্কোর ৬, ৩৩, ১৩।

দ্রুত আরও দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দুই ডানহাতি নাহিদুল ইসলাম এবং রবি বোপারা সিঙ্গেলের দিকে মন দেন। এই জুটি মিডিয়া প্রান্তের উইকেটে ব্যাট করার সময় স্লিপে দুজন করে রাখছিলেন রিয়াদ। শর্ট থার্ডম্যানে একজন। ফাইন লেগে একজন। আরেক প্রান্তে গেলে স্লিপ ফাঁকা রেখে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছিলেন খুলনার দলপতি।

নাহিদুলের মাঝে স্কুপ করার প্রবণতা বেশি। রিয়াদ তা জেনেই শর্টফাইন লেগ আর ডিপস্কয়ার লেগে ফিল্ডার রাখেন। কিন্তু তাতেও তাকে খুব একটা আটকানো যায়নি। মাঝে মাঝে স্কুপ করে ফিল্ডারের ব্যর্থতায় বাউন্ডারি আদায় করেছেন। তরুণ নাহিদুলকে সারাক্ষণ পরামর্শ দিচ্ছিলেন অভিজ্ঞ বোপারা। নাহিদুল ৩৪ বলে অর্ধশতকে পৌঁছাতে ধীরে ধীরে মাঠের সবদিক ব্যবহারে মন দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের মুখ দেখানে পারেননি।

এর আগের গল্পটা ব্যাটসম্যান রিয়াদের। শেষ ম্যাচেই ফিফটি (৫৬) করেছিলেন, তার আগের ম্যাচে অপরাজিত ৪৮; সেই মাহমুদউল্লাহর ব্যাট আজও হেসেছে। অধিনায়কের ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করে রংপুরকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দেয় খুলনা টাইটানস।

রংপুর রাইডার্সের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার পথে শুরুটা ভাল হয়নি টাইটানসদের। রিলি রুশো একটি করে ছয়-চারে ঝড়ের আভাস দিয়ে ৪ বলে ১১ রানেই ফিরে যান। দুই চারে ৯ করা আফিফ হোসেনও দাঁড়িয়ে যেতে পারেননি।

নাজমুল হোসেন শান্ত ধীরেসুস্থেই এগোচ্ছিলেন, তবে ৩ চারের ইনিংসটি ২০ রানেই থেমে যায় মাশরাফীর বলে রুবেলের তালুতে।

নিকোলাস পুরানকে (১৬) নিয়ে পরের প্রতিরোধের গল্পটা জুড়ে থাকলেন কেবল মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক একাই লড়লেন একপাশ আগলে। তাতে সচল থাকল রানের চাকাও। রিয়াদ ৫৯ রানে ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৩৬ বলে, ৬ চার ও ২ ছয়ে।

আগের ম্যাচেই শেষের ঝড় তুলে দলকে জয় এনে দেয়া আরিফুল হক ১৬, কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ১১ রানে সংগ্রহটা দেড়শ পেরিয়ে যায়।

রাউডার্সদের হয়ে সবচেয়ে সফল ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেয়া রুবেল হোসেন। মাশরাফী এক উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৩২ রান।

খুলনা: ১৫৮/৮
রংপুর: ১৪৯/৬
ফল: খুলনা ৯ রানে জয়ী।