৭ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি। এরপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে অন্যতম সেরা পারফর্মারের একজন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ২৩৯ রানের সংগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের লড়াকু মনোভাব আর উজ্জীবনী ক্ষমতাই ফাইনালে পা রাখার ভিত গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে।
এশিয়া কাপ উপলক্ষে ক্রীড়া বিষয়ক চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের বিশ্লেষণধর্মী অনুষ্ঠান ‘ডাগআউটে’ বসেছিলেন জয়াবর্ধনে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে আলোচনায় তার সঙ্গী ছিলেন সাউথ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ ও ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ। ম্যাচে মাশরাফীর নেতৃত্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের লড়াকু মানসিকতারও প্রশংসা করেছেন তিনজনই।
ফিল্ডিং থেকে শুরু করে নেতৃত্বে, পাকিস্তানকে নাচিয়ে ছেড়েছেন মাশরাফী। ইমাম-উল হকের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়ে যখন ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন শোয়েব মালিক, রুবেলের বলে বাজপাখির মতো ক্ষীপ্রতায় বাতাসে ভেসে নেয়া এক ক্যাচে মালিককে সাজঘরে ফিরিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরে যখন ৭১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটা প্রায় ছিনিয়েই নিচ্ছিলেন ইমাম ও আসিফ আলী, তখন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে এনে পাকিস্তানের লেজ মুড়িয়ে দিতে পথ করে দিয়েছেন মাশরাফী।
আঙুলে ব্যান্ডেজ থাকার পরও বারবার ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই আঙ্গুলেই রান ঠেকিয়েছেন। দল যখনই হতাশায়, সতীর্থদের বারবার উজ্জীবিত করেছেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের এমন উদ্দীপনা শক্তিই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন জয়াবর্ধনে-লক্ষণরা।
‘কেউ যদি শতভাগ দিতে চায়, সে যেন মাশরাফীর মতো দেয়। দেখুন ওর আঙুলে চোট আছে, পায়ে যে ব্যান্ডেজ আছে সেটা সবাই জানে। কিন্তু ও-ই সবার আগে ঝাঁপাচ্ছে। নিজের শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করছে। অধিনায়ক যখন এভাবে খেলে দলের বাকিরাও তাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করে।’ স্মিথ-লক্ষ্মণকে নিজের মন্তব্য এভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন জয়াবর্ধনে।
মাশরাফীর পাশাপাশি পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনজনই। বিশেষ করে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত, মাঠে তার দেহভঙ্গি আর আত্মবিশ্বাসের অভাবই পাকিস্তানকে বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে এই সাবেকদের মত।