চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শতভাগ কারখানায় শ্রমিকদের বোনাস ও বেতন পরিশোধ: বিজিএমইএ

শতভাগ পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের বোনাস ও বেতন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি মইনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু।

তিনি বলেন, প্রায় শতভাগ কারখানায় বোনাস দেয়া হয়েছে আর শতভাগ কারখানায় জুলাই মাসের বেতন দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে ৯০ ভাগ কারখানায়। আজকের মধ্যেই (সোমবার) বাকি কারখানাগুলোতে ছুটি দেয়া হবে।

এছাড়া মালিক-শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতে অধিকাংশ কারখানায় আগষ্ট মাসের অগ্রীম ১০ থেকে ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান মইনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু।

ঈদের আগে শ্রমিকরা যাতে সুষ্ঠভাবে বেতন ভাতাদি পায়, সে লক্ষ্যে সরকার এবং বিজিএমইএ অগ্রীম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, বৃহত্তর ঢাকাকে মোট ১৫টি জোনে ভাগ করে মোট ১৫টি আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়। টিমগুলো গত ১ মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ঢাকায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ক্রাইসিস কন্ট্রোল রূম খোলা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ঈদের আগে বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা হতে পারে এরকম কিছু কারখানার তালিকা বিভিন্ন সংস্থা থেকে এসেছিল। সে অনুযায়ী মোট ৭শ টি কারখানাকে ক্লোজ মনিটরিং করা হয়। বিজিএমইএর সরাসরি হস্তক্ষেপে বেতন ভাতা বিষয়ে সমস্যা রয়েছে এমন ২১টি কারখানার শ্রমিকদের বেতনভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয়নি, এরকম একটি কারখানাও নেই এই মূহূর্তে।

এবার কিছু কারখানায় আইন বহির্ভূত ইস্যুতে অসন্তোষ হয়েছে উল্লেখ করে এতে আরো বলা হয়, ঈদের ছুটি এবং আগষ্ট মাসের আংশিক অগ্রীম বেতন নিয়ে সমস্যা হয়েছে। অথচ এ দুইটি বিষয়ে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা ছিলো না। এছাড়া বেশ কিছু কমপ্লায়েন্ট কারখানা, যেগুলোতে নিবন্ধিত ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে এবং যথাযথভাবে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে, সেগুলোতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে। আবার প্রচলিত নিয়মের বাইরে বাড়তি বোনাসের দাবিতে কোন কোন কারখানায় শ্রমিকরা সমস্যা করেছে। কিছু ক্ষেত্রে বহিরাগত শ্রমিকনেতাদের উস্কানিও ছিলো। তবু সবার সহযোগিতায় সমস্যাগুলোর সমাধান হয়েছে।

মইনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, মহাসড়কগুলোতে যানজট কমাতে ঈদ উপলক্ষে আমরা এলাকাভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ছুটি দেয়া হয়েছে। কিছু কারখানার শ্রমিক গত শুক্রবার, কিছু কারখানার শ্রমিক গত শনিবার ও কিছু শ্রমিক রোববার ছুটিতে গেছে। বাকি শ্রমিকরা আজকের (সোমবার) মধ্যে যাচ্ছে।

প্রতি বছর ঈদের সময়ে সড়ক পথে দূর্ঘটনায় বহু প্রাণহানী হয়। এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে বার বার আহ্বান করা সত্ত্বেও এটি ঘটছে। তাই রাস্তায় অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস, ট্রেন ও লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএর বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘আমাদের সদস্য কারখানার বেতন-বোনাস নিয়ে আমরা কথা বলবো। অন্য কারখানার কথাতো আমরা বলতে পারবো না। সেটা আমাদের দায়িত্বও নয়।’

অরেক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘বোনস প্রায় শতভাগ কারখানায় দেওয়া হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে, সোমবার বিকাল পাঁচটার মধ্যে সেসব কারখানার বোনাস দেওয়া হবে।’