দুই ওপেনার করলেন ফিফটি। ওপেনিং জুটিতে এলো ১০২ রান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সৌম্য সরকার রান আউট হলেও নাঈম শেখ ঠিকই সেরেছেন বাকি কাজ। মাইলফলকের ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
নিজেদের ১০০তম টি-টুয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। হারারেতে স্বাগতিকদের দেয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ তাড়া করে ১৮.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে।
নাঈম ৫১ বলে ৬৬ ও নুরুল হাসান সোহান ৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। লক্ষ্য ছুঁতে শেষে এ দুজন দ্রুত রান তোলায় ৭ বল আগেই জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
টি-টুয়েন্টি সংস্করণে প্রথমবার ওপেনিং জুটিতে একশ রান দেখল বাংলাদেশ। যদিও শুরুতে রান তোলায় খুবই ধীরগতি দেখা গেছে সৌম্য ও নাঈমের মধ্যে। ৪৫ বলে ফিফটি করে সৌম্য (৫০) রান আউট হন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তিনে নেমে প্রথম বলে সোজা ব্যাটে মারেন বাউন্ডারি।
শুরুতে তার ব্যাটিংয়ের ধরণ দেখে মনে হচ্ছিল যত দ্রুত খেলাটা শেষ করা যায় সেটিই ভাবছেন! শেষে অধিনায়কের ১২ বলে ১৫ রানের ইনিংসটি থামে রান আউটে।
মাহমুদউল্লাহ যখন আউট হন, তখন ২১ বলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩০ রান। কিছুটা চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও সোহানের ব্যাট সহজ করে দেয় সব। নাঈমও শেষে হাত খুলে মারেন।
টি-টুয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০০৬ সালে শাহরিয়ার নাফীসের নেতৃত্বে খুলনার সেই ম্যাচে ৪৩ রানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার হারারেতে বাংলাদেশের ১০০তম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। রেগিস চাকাভার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া স্বাগতিকরা আশা জাগিয়েছিল বড় সংগ্রহের।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থামিয়ে দেয় অল্প রানেই। ১০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৯১। সেখান থেকে ১ ওভার বাকি থাকতেই তাদের ১৫২ রানে অলআউট করে সফরকারীরা।
চাকাভা ২২ বলে খেলেন ৪৩ রানের টর্নেডো ইনিংস। ডিওন মেয়ার্সের ২২ বলে ৩৫ স্বাগতিকদের নিয়ে যায় দেড়শর পথে।
৩১ রানে ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭ রানে ২টি নেন শরিফুল ইসলাম। সাইফউদ্দিন ২ উইকেট নেন ২৩ রানে।