বান্দরবানে শঙ্খ নদীর উজানে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ থাকলেও ভাটিতে দূষণের শিকার হচ্ছে। পাহাড়ের গায়ে চাষাবাদে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক যাচ্ছে নদীতে। পাথর উত্তোলন ও পাহাড়ী বন উজাড় হওয়ায় মাটি গলে মিশছে নদীর পানিতে।
ভাটিতে নদীর স্রোত যেমন ক্ষীণ তেমনি পানির রঙও ঘোলা। উজানের মতো ভাটিতেও নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখার আহ্বান নদী প্রেমীদের।
বান্দরবানে পাহাড় থেকে নেমে এসেছে ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী শঙ্খ। বৃটিশ শাসনামলে এর নাম দেয়া হয় সাঙ্গু। এই নদীর নাম যেমন দুটি তেমনি এর চরিত্র দু’রকম। উজানে দূষণমুক্ত, যৌবনা; কিন্তু ভাটিতে এসে বিপর্যস্ত।
খর স্রোতা সাঙ্গু নদী উজানের তার স্বাভাবিক এবং স্বচ্ছ পানির প্রবাহ ধরে রাখতে পারলেও ভাটিতে গিয়ে বিপর্যয়ে পড়ছে। নদীপাড়ে ব্যবহৃত তামাক চাষসহ বিভিন্ন চাষে ব্যবহৃত রাসায়সিক ও কীটনাশক গড়িয়ে নদীতে পড়ে দূষণের শিকার হচ্ছে।
জুম চাষ বা অন্য কারণে পাহাড় ন্যাড়া করায় বৃষ্টির পানির সঙ্গে সহজেই মাটি গিয়ে ভরাট হচ্ছে নদী। ভাটিতেও শঙ্খকে স্বাভাবিক রাখতে নদী মনিটরিং করার ওপর জোর দিচ্ছেন সচেতন সমাজ।
পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানো গেলে উজানের মতো ভাটিতেও শঙ্খ নদীকে স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: