চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শঙ্কায় কাটছে চাঁদপুরের কামারদের দিন

শঙ্কায় কাটছে চাঁদপুরের কামারদের দিন। যতই এক একটি দিন যাচ্ছে তাদের শঙ্কা বাড়ছে। ঈদুল আজহা ঘিরে এ পেশার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকলে সেটি গুড়েবালি। ঈদের পূর্ব মুহূর্তেও নেই ক্রেতাদের আনা-গোনা। কোরবানিকে সামনে রেখে দা, বটি, ছুরি, ধামা তৈরি করে রেখে এখন ক্রেতা না পেয়ে তাদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ।

চাঁদপুরে দেড় শতাধিক দোকানে ৫’শ অধিক কামার রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা শহরসহ গ্রামীণ বিভিন্ন হাট-বাজারে কামাররা ছুরি, বঁটি, দা, চাপাতিসহ কোরবানিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি তৈরি করছে। আর ক’দিন বাকী কোরবানি ঈদ। টুংটাং শব্দে মুখরিত কামার পাড়া। নেই কোন ক্রেতাদের সমাগম। ঋণ নিয়ে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও দা, বটি, ছুরি, ধামা প্রস্তুত করে রাখলেও নেই বেচা-বিক্রি। দুশ্চিন্তার কপালে ভাঁজ পড়েছে তাদের।

কোরবানির কাজে ব্যবহৃত দা, বটি, ছুরি, ধামা’র অনেক বেশি দাম চাচ্ছেন দোকানিরা।

নির্দিষ্ট স্থানে কামারপল্লী নির্ধারণের জন্য যদি লিখিত আবেদন করে তাহলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে বলে জানায় চাঁদপুর বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ কে এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।

এ বছর কোরবানির কাজে ব্যবহৃত বঁটি প্রকারভেদে ৩০০-৮০০ টাকা, দা ৩০০-৬০০ টাকা, বড় আকৃতির ছুরি ৪০০-১০০০ টাকা, ছোট আকৃতির ছুরি ৫০-২০০ টাকা এবং চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১২০০ টাকায়।