ডারবানে প্রথম টেস্টে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে হারলেও সাউথ আফ্রিকার মাটিতে সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ দল। পঞ্চম দিনের সকালের সেশনটা ছাড়া প্রথম চার দিনই লড়াইয়ে ছিল মুমিনুল হকের দল। সেখান থেকে আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করে সিরিজের শেষ টেস্টে লড়াই করার মনোভাব নিয়ে অপেক্ষায় সফরকারীরা।
পোর্ট এলিজাবেথে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। ম্যাচের আগে টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল জানালেন নতুন কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ ও নিজেদের মনোভাব নিয়ে।
‘আগের টেস্ট যদি দেখেন আমরা সেকেন্ড ইনিংসে যেভাবে ব্যাটিং করেছি এই জায়গায় হয়তো আমাদের আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। ওই জিনিসটা আমরা কীভাবে করতে পারি এ জিনিসগুলো আমার কাছে মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ, আমরা আবার ওই পরিস্থিতিতে পড়লে কী করবো এগুলো।
‘বাতাস (উইন্ডি ভেন্যু) অবশ্যই থাকে, একেক জায়গায় একেক কন্ডিশন চ্যালেঞ্জ থাকে। এগুলো মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। আমরা চেষ্টা করছি। আমরা মানসিকভাবে কোনোভাবে হারিনি। হারলে তো চার দিন ভালো খেলতাম না। মানসিকভাবে সবাই শক্ত আছি। কালকের ম্যাচেও সেভাবে নামব।’
চোট কাটিয়ে পরের টেস্টে ফিরছেন তামিম ইকবাল, অধিনায়ক দিলেন এমন ইঙ্গিত, ‘তামিম ভাইর অবস্থা আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমরা পরের ম্যাচে খেলার জন্য আশাবাদী, ইনশাআল্লাহ উনি খেলবেন। আপনারা যে একটা পেস বোলার অথবা একটা স্পিনারের কথা বলছেন, আমরা আসলে কালকে একটু আদ্রতা, উইকেটটা কালকে পর্যন্ত না দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না’।
চোট নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন তাসকিন আহমেদ। আগের ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকা শরিফুল ইসলামও ফিরেছেন। পেস আক্রমণ কেমন হবে সেটি নিয়ে ভাবনায় পড়তে হচ্ছে দলকে।
মুমিনুল বলেন, ‘অবশ্যই তাসকিন টেস্ট ক্রিকেটে আসার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছে। তাসকিনকে অবশ্যই মিস করবো। সেই সাথে আমার কাছে মনে হয় যে, তাসকিনের জায়গায় যে খেলবে তার জন্য বিরাট একটা সুযোগ হবে। যেটা আগে বললাম অবশ্যই তাসকিনকে মিস করবো আমরা সবাই। ও যে পরিমাণ কষ্ট করছে শেষ টেস্টে খেলল, এ টেস্টে ওর জায়গায় যে খেলবে তার জন্য বড় সুযোগ।’