ছয় মাস আগে স্প্যানিশ মিডিয়া দাবি করেছিল, রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ যোগাযোগ করেছেন জোয়াকিম লোর সঙ্গে। জিদান দায়িত্ব ছাড়ার পর পেরেজ নাকি প্রথমেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তবে এমন খবর শোনার পরপরই রিয়ালে দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়ে দেন বিশ্বকাপজয়ী জার্মান জাতীয় দলের কোচ। তখন অবশ্য রাশিয়া বিশ্বকাপ নিয়েই ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপের পর চিত্রটা বেশ পাল্টে যায়। বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ার পর লো’র চাকরি নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়। খবর বের হয়, লো’কে বরখাস্ত করা না হলেও তিনি নিজেই পদত্যাগ করতে পারেন।
কিন্তু জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, লো’কেই প্রধান কোচ হিসেবে রেখে দেয়া হচ্ছে। ২০০৪ সালে জার্মানির দায়িত্ব নেয়া কোচকে এখনো জার্মান ফুটবলের কর্মকর্তারা অপরিহার্য মনে করছেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরুর একদিন আগে লো’র সঙ্গে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করে জার্মানি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সে পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব সামলাবেন। তবে এরমধ্যেই নতুন খবর, আগে সরাসরি মানা করলেও রিয়াল ইস্যুতে ভিন্ন সুর তার গলায়। স্প্যানিশ জায়ান্টদের নিয়ে বেশ ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন লো।
জাতীয় দলের চলতি দায়িত্ব শেষে ভবিষ্যতে কী করবেন সে বিষয়ে জার্মান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক জেডডিএফ দেয়া সাক্ষাতকারে অনেক কথা বলেছেন লো। যেখানে উঠে এসেছে আগামীতে রিয়ালের কোচ হওয়ার ইঙ্গিতও।
লো বলেছেন, ‘আমি বেশ কিছুদিন ক্লাবে কোচ ছিলাম এবং এখনই অবসরের ব্যাপারে কিছু ভাবছি না। সুতরাং ভবিষ্যতে কী করব তা ভাবার সময় পাব। আমার দিক থেকে আমি এখনো ক্লাব কোচিংয়ের ব্যাপারে আগ্রহী।’
এসময় উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, আপনার আগ্রহের তালিকায় বিশেষ কোনো ক্লাব আছে? লো’র সটান উত্তর, ‘আমার চিন্তা বিদেশে, অবশ্যই জার্মানিতে না। যেকোনো কোচের জন্যই রিয়াল বিশেষ আগ্রহের ক্লাব।’
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছেন লো’র। বিশ্বকাপের প্রথমপর্ব থেকেই বিদায়। ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিশ্বকাপ পরবর্তী আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচগুলোতেও। বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর উয়েফা নেশনস লিগে দেখা মিলেছে ’অচেনা’ জার্মানির। টুর্নামেন্টের শেষ চারেও যেতে পারেনি ‘কাইজাররা’। রিয়াল ইস্যুতে ইতিবাচক কথা বলে লো কী ভবিষ্যৎ মিশনের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন? উত্তর পেতে অপেক্ষা ছাড়া উপায় কী?