জাতীয় লিগের আট দলের ছয়টিতে একজন করে লেগস্পিনার। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এমনটা দেখা যায়নি কখনোই। স্বীকৃত লেগস্পিনারদের প্রায় সবাইকে জাতীয় লিগের মূল স্কোয়াডে জায়গা করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। এবার টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে প্রত্যাশা মূল একাদশেও যেন সুযোগ করে দেয়া হয় তাদের।
১০ অক্টোবর মাঠে গড়াবে জাতীয় লিগ। সোমবার সব দলের খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিবি। জাতীয় দলের হয়ে খেলা চার লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, অলক কাপালি, জুবায়ের হোসেন লিখন, তানবীর হায়দার ছাড়াও রাখা হয়েছে মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদিকে। শ্রীলঙ্কায় ‘এ’ দলের সিরিজ শেষে নিজের বিভাগীয় দলে ঢুকবেন আরেক লেগস্পিনার রিশাদ আহমেদ।
এবার লেগস্পিনারের ছড়াছড়ি দেখা গেলেও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করিয়ে দিলেন ম্যাচ খেলতে পারাটাই হয়ে উঠবে তাদের জন্য মুখ্য ব্যাপার। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘আমরা লেগস্পিনারদের যতটা সম্ভব সুযোগ দিয়ে দেখতে চাই। স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। এখন খেলানোর দায়িত্বটা টিম ম্যানেজমেন্টের। তারা যেন ম্যাচ খেলার সে সুযোগটা করে দেয়। খেলাতেই হবে, এভাবে আমরা কোনো দলকে বলতে পারি না, আদেশ করতে পারি না। অনুরোধ করতে পারি। আমরা সেটি করেছি। এখন দেখা যাক। লেগস্পিনাররা নিয়মিত খেললে দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো।’
দল চূড়ান্ত হওয়ার আগেই জাতীয় লিগের কোচদের কাছে বিসিবি থেকে একটি বার্তা গেছে লেগস্পিনার খেলানোর ব্যাপারে। এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোর কোচ তালহা জুবায়ের বললেন, ‘নির্বাচকদের চাওয়ার পাশাপাশি আমাদেরও চেষ্টা থাকবে লেগস্পিনার খেলানোর। আমার দলে আমিনুল বিপ্লব আছে। চোটের কারণে হয়ত প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারবে না। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই আমরা চেষ্টা করব নিয়মিত খেলাতে।’