চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

লেখাপড়ায় মনোযোগী ঐশী

ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরীক্ষা (আইইএলটিএস) দিতেই ঢাকায় আসা। ভেবেছিলেন এই কোর্স করে বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা নেবেন। কিন্তু ভাগ্যের চাকা অন্যদিকে ঘুরে যায়। হয়ে যান ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’! বলছি গেল বছরের চ্যাম্পিয়ন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর কথা। 

‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হওয়ার পর ঐশীর সবকিছু বদলে যায়। তারপর তিনি হেঁটেছেন স্বপ্ন রথে। সে কারণে লেখাপড়ায় কিছুটা ঘাটতি হয়। এবার কাজের চাপ কমিয়ে লেখাপড়ায় মনোযোগ দিয়েছেন এই নবীন তারকা। চ্যানেল আই অনলাইনকে ঐশী বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পরিবেশ বিজ্ঞানে ভর্তি হয়েছি।

তিনি বলেন: লেখাপড়ায় একটা গ্যাপ হয়ে গিয়েলো, এখন পড়ালেখায় মনোযোগ দিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস করছি। কাজের চাপ তুলনামূলক কমিয়েছি। এর ফাঁকে বিভিন্ন নতুন কাজের মিটিং করছি, এবারের ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ বিজয়ী তোরসাকে গ্রুমিং করাচ্ছি। তবে এরমধ্যে বার্জার পেইন্টের একটা ডকুমেন্টারিতে কাজ করলাম। আরও নতুন কাজের কথাবার্তা চলছে।

ঐশী বলেন: ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষার পর আমি মূলত আইইএলটিএস করতে ঢাকায় এসেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য কোচিং করতে নয়। আমার ইচ্ছে ছিল বিদেশ থেকে গ্রাজুয়েশন করবো। আমি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও দেইনি। আইইএলটিএস’র টেস্ট দেয়ার সময় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র অডিশনে ডাক আসে। সেখান থেকে বিভিন্ন ধাপে যখন টিকে যাই। তখন আমার সবকিছু বদলে যেতে থাকে।

ঐশীর হাতে রয়েছে দুটি সিনেমা। একটি ‘মিশন এক্সট্রিম’ এবং অন্যটি ‘আদম’। তিনি বললেন: মিশন এক্সট্রিমের ডাবিং বাকি। নভেম্বর মাসেই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আরেক ছবি ‘আদম’-এর প্রথম লটের কাজ শেষ করেছি। দ্বিতীয় লটে আমার কাজ নেই। শেষের দিকে আবার যোগ দিব। এই ফ্রি সময়টাকে লেখাপড়ার দিকেই পুরোপুরি মনোযোগ রেখেছি।