বিতর্কিত ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে মাইকেল জ্যাকসন শিশুদের যৌন নিপীড়ন করতেন। বিষয়টি নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি জ্যাকসনের কোনো বন্ধু অথবা পরিবারের কেউ। দেরীতে হলেও অবশেষে বিতর্কিত তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার ।
‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রের প্রতিবাদে নতুন একটি ত্রিশ মিনিটের তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে যেখানে মাইকেল জ্যাকসনের ভাতিজা তাজ, ভাতিজি ব্র্যান্ডি জ্যাকসন এবং তার সঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজ করা টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ব্র্যাড সান্ডবার্গ মুখ খুলেছেন এই ব্যাপারে। তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, এত দীর্ঘ সময়ে মাইকেল জ্যাকসনের পাশে থাকা কোনো শিশুকে কখনও চাপে থাকা, বিষণ্ণ অথবা অ্যাবিউজড মনে হয়নি। আরও বলা হয়েছে, নেভারল্যান্ড খুবই শান্তির, মজার এবং নিরাপদ একটি স্থান ছিল।
‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রে যৌন নিপীড়নের শিকার বলে দাবি করছেন, এমন দুজনের সাক্ষাৎকার রয়েছে। দেখা গেছে দুই জন পুরুষ বলছেন, তাদের বয়স যখন সাত ও দশ বছর তখন মাইকেল জ্যাকসন দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা।
১৩ বছর বয়সী এক কিশোর জ্যাকসনের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে, ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ একবার ‘নেভারল্যান্ড’ নামে পরিচিত তার খামারবাড়িতে তল্লাসি চালিয়েছিল। সেই খামারবাড়িটির নামেই তথ্যচিত্রটির নামকরণ করা হয়েছে।
দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন ড্যান রিড। এটি তৈরির পেছনে রয়েছে এইচবিও ও চ্যানেল ফোর-এর মতো বড় বড় নাম। মি. রিড, এইচবিও ও চ্যানেল ফোর যৌথভাবে তথ্যচিত্রটির প্রযোজক। তবে মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার এই তথ্যচিত্রের দাবিকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে।