গত বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অ্যানফিল্ড ভূত এখনো তাড়া করে বেড়াচ্ছে বার্সেলোনাকে। মঙ্গলবার রাতেও দুর্বল স্লাভিয়া প্রাগের সঙ্গে ড্র করেছে বার্সা। তবে লিভারপুল আছে লিভারপুলের মতোই। কাতালানদের ড্র’র রাতে জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জেঙ্কের বিপক্ষে অলরেডরা জিতেছে ২-১ গোলে।
সালাহ-মানেদের জয়ের রাতে ড্র’র ফাঁদে আটকে গেছে নাপোলি। সলজবুর্গের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শিরোপা জেতার পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড়েও শেষ মিনিট পর্যন্ত টিকে ছিল লিভারপুল। গত বছর যেখানে শেষ করেছিল, ঠিক সেখান থেকেই যেন এবার শুরু করেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা অলরেডদের কেউ যেমন আটকাতেই পারছে না। এক ম্যাচ বাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একই গতিতে ছুটেছেন সালাহ-ফিরমিনেরা।
ঘরের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও একটা সময় অবশ্য ড্র’র শঙ্কা জেগেছিল লিভারপুলের। শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটতে দেননি অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইন।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে জর্জিনিয়ো উইনাল্ডামের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। গোলমুখে বল পেয়ে এক চতুর ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান নেদারল্যান্ডস মিডফিল্ডার। এরপর অবশ্য আরও কয়েকবার আক্রমণে গেলেও গোল করতে পারেননি তারা।
এরমধ্যেই প্রথমার্ধের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে সমতায় ফেরে অতিথিরা। ৪০ মিনিটে জেঙ্ককে সমতায় ফেরান তানজানিয়ার ফরোয়ার্ড এমবাওনা সামাট্টা।
গোল হজম করলেও আক্রমণের ধার কখনোই কমায়নি লিভারপুল। ৫৩ মিনিটে তার ফলও পায়। চলতি মৌসুমে চার ম্যাচে নিজের চতুর্থ গোল করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার অক্সলেড-চেম্বারলেইন।
২-১ লিড নেয়ার পর আরও অন্তত দুবার গোল করার সুযোগ পায় লিভারপুল। দুবারই বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন মোহামেদ সালাহ ও জেমস মিলনার। এরমধ্যে আবার জেঙ্কের একটা সম্ভাবনাময় আক্রমণ রুখে দেন নবি কেইটা।
ম্যাচের শেষদিকে গোল শোধ করা ভালো সুযোগ পেয়েছিল জেঙ্ক। কিন্তু অ্যালিসন বেকারের তৎপরতায় সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হ্যানিয়েন। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
চার ম্যাচে তিন জয় ও এক হারে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘ই’তে শীর্ষে লিভারপুল। দুই জয় ও দুই ড্রতে দ্বিতীয়স্থানে থাকা নাপোলির পয়েন্ট ৮। মঙ্গলবার রাতে তারা ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে সলজবুর্গের সঙ্গে। সমানসংখ্যক ম্যাচে সলজবুর্গের অর্জন ৪ পয়েন্ট। আর তলানিতে থাকা জেঙ্কের খাতায় জমা মাত্র এক পয়েন্ট।