চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

লিবিয়ায় মানব পাচার ও ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে খুনের ঘটনায় ৩৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এবং হত্যার অভিযোগে মামলাটি (নং-০১) দায়ের করা হয়।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ ফজল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামি হিসেবে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, অজ্ঞাত আরো ৩০/৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, লিবিয়ার ঘটনায় থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সিআইডি, ডিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মামলাটি তদন্তে সহায়তা করছে। লিবিয়ার মিজদা শহরে এই হত্যার ঘটনায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত সাদ্দাম হোসেন আকাশের বড় ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালকে (৫৫) সোমবার ভোরে রাজধানীর শাহাজাদপুর এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

                                                     আটক হাজী কামাল প্রায় ১০ বছর ধরে মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাজী কামালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচার সিন্ডিকেটের অনেকের নাম জানা গেছে। কামাল এই চক্রের হোতা। তিনি কমপক্ষে ৪০০ জনকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছেন। টাকা নিয়ে পাচার করার পর ওই ব্যক্তিদের লিবিয়ায় জিম্মি করে বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকাও আদায় করেন কামাল। মানবপাচারের পাশাপাশি কামাল পেশায় ঠিকাদার। বহু টাইলস শ্রমিক তার সংস্পর্শে আসেন। ওই সুযোগে তিনি তাদের প্রলুব্ধ করে লিবিয়ায় পাচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ২৮ মে লিবিয়া সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের মিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এতে আহত হয় আরও ১১ জন।

ওই ২৬ বাংলাদেশিসহ নিহতদের মিজদা শহরের একটি স্থানে টাকার জন্য জিম্মি রেখেছিল মানবপাচারকারী একটি চক্র। এ নিয়ে ওই চক্রটির সঙ্গে ওই বাংলাদেশিসহ লিবিয়া গমন প্রত্যাশী শ্রমিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই এক পর্যায়ে মানবপাচারকারী চক্রটি এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।