মার্শেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার, ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ এবং মার্শেই ডিফেন্ডার আলভারো মার্টিনেসের ঠোঁটের কথা পড়ে এমন জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ‘বানর’ বলে গালি দেয়া হয়েছিল, মন্তব্য তাদের।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর লিগ ওয়ানে পিএসজি-মার্শেই ম্যাচে খেলার চেয়ে হাতাহাতির পরিমাণই ছিল বেশি। লাল কার্ড দেখেন নেইমারসহ পিএসজির তিনজন, মার্শেইয়ের দু’খেলোয়াড়। ম্যাচ শেষে মার্শেই ডিফেন্ডার আলভারো মার্টিনেসের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ আনেন নেইমার। ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, সুযোগ পেলে আলভারোকে ঘুষি মারতেন তিনি।
ঘুষি মারতে না পারলেও আলভারোর মাথায় চড় মারার অপরাধে গত সপ্তাহে দু’ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন নেইমার। অভিযোগ ঝুলে ছিল আলভারোর মাথার উপর, ফ্রেঞ্চ ফেডারেশন জানিয়েছিল তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে মার্শেই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে। সিদ্ধান্ত আসতে পারে বুধবার।
আলভারো যে ফাঁসতে চলেছেন তা একপ্রকার পরিষ্কার। ম্যাচে আলভারোর ঠোঁট পড়া দেখে তিন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, নেইমারকে ‘মোনো’ সম্বোধন করেছিলেন আলভারো, যার স্প্যানিশ অর্থ বানর!
নেইমারকে ঠিক কী বলা হয়েছিল সেটা নিশ্চিত হতেই তিন বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয়া হয়। তদন্তে সাহায্য করেছেন রিও ডি জেনেরিও বধির সংস্থার লুইস ফিলিপে রামোস, ব্রাজিল বধির শিক্ষা ইনস্টিটিউটের ফিলিপে অলিভার এবং মিকেল ভিদাল। অলিভার জানিয়েছেন, নেইমারকে উদ্দেশ্য করে ‘মোনো’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন আলভারো।
নেইমারও যে একেবারে নির্দোষ এমন কিন্তু নয়। অলিভার জানিয়েছেন, আলভারোকে উদ্দেশ্য করে সমকামীমূলক মন্তব্য করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারটি।
নেইমারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে বর্ণবিদ্বেষের কারণে ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন আলভারো। তার চাচা যদিও বলছেন, তার ভাতিজা নেইমারকে মোটেও মোনো বলেননি, বলেছিলেন বোবো। বোবোর আবার আরেক অর্থ আছে। স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ হচ্ছে তুচ্ছ, অপদার্থ বা বোকা। আলভারোর চাচা বলছেন, বোবোকে ভুলে মোনো ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা।