জিম্বাবুয়ে বোলারদের দৌড়ের উপরে রাখা বাংলাদেশের ব্যাটিং তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে দুই উইকেট হারালেও লিড টেনে নিয়েছে দুইশর কাছে। মুমিনুল হক ১৩২ করে ফিরে গেলেও মুশফিকুর রহিম ছুটছেন, অপরাজিত আছেন ১৪৩ রানে। সঙ্গী লিটন দাস ৯ রানে।
মিরপুর টেস্টে ঝলমলে ব্যাটিং যাত্রাটা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। সোমবার লাঞ্চ বিরতির পরপরই সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন মুশফিক। এইন্সলের বল বাউন্ডারিতে ঠেলে তুলে নেন সপ্তম টেস্ট শতক। ১৮ চারে ১৬০ বলে তিনঅঙ্ক ছুঁয়েছেন।
জিম্বাবুয়ে-২৬৫, বাংলাদেশ-৪৪২/৫ (চা বিরতি)
মুশফিকের আগে মুমিনুল শতক ছুঁয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যান। ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে সকালে ক্রিজে আসা টাইগার অধিনায়ক পেসার ত্রিপানোকে লংঅনে বাউন্ডারি ছাড়া করে ১৫৬ বলে পৌঁছান ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরিতে। পথে ছিল ১২টি চার।
আউট হয়ে ফেরার সময় মুমিনুলের পাশে ১৩২ রান। ১৪ চারে ২৩৪ বলে সাজানো। অধিনায়কের পর মিঠুন সাজঘরে ফেরেন ১৭ করে।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মুমিনুল ও মুশফিক চতুর্থ উইকেটে যৌথ প্রযোজনায় ২২২ তুলে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। শতকের পথে জুটির রেকর্ডে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে ছাড়িয়ে গেছেন তারা।
টেস্টে দুটি করে দুইশ রানের জুটি ছিল তামিম-ইমরুল ও মুমিনুল-মুশফিকের। বাকি দুজনকে ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল ও মুশফিক। তাদের পাশে এখন তিনটি করে দুইশ রানের জুটি। আর সাদা পোশাকে দশমবারের মতো দুইশ বা তারচেয়ে বড় জুটি দেখল বাংলাদেশ।
১৪ ইনিংস পর শতক ছোঁয়া মুমিনুল দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ডও ছুঁয়েছেন। এতদিন ৯টি সেঞ্চুরি নিয়ে তামিম ছিলেন উপরে, মুমিনুল বসলেন দেশসেরা ওপেনারের পাশে। তামিম ১১৫ ইনিংস খেলে নয় সেঞ্চুরি করেছিলেন, মুমিনুলের অবশ্য লাগল কেবল ৭৪ ইনিংস।