চট্টগ্রাম থেকে: অসাধারণ বোলিংয়ে তাইজুল ইসলাম প্রথম ইনিংসে এনে দেন ৪৪ রানের লিড। কিন্তু ফের শুরুর ব্যাটিং ব্যর্থতায় আক্রান্ত বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে স্বাগতিকরা হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৯ রান, ৪ উইকেট হারিয়ে। স্বাগতিকরা পেয়েছে ৮৩ রানের লিড।
মুশফিকুর রহিম ১২ ও ইয়াসির আলি ৮ রানে অপরাজিত আছেন।
প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে আরও বিপর্যয় ডেকে আনেন সাদমান-সাইফ-শান্ত মুমিনুলরা।
শাহিন শাহ আফ্রিদি তুলে নেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন হাসান আলি।
ওপেনার সাদমান ইসলাম ১ রান করে আউট হন। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট দেন। সাইফ হাসান ১৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে। মারেন তিনটি চার।
সকালের সেশনে পাকিস্তানের ৪ উইকেট তুলে লড়াইয়ে ফেরে বাংলাদেশ। দুপুরের সেশনে ৬ উইকেট তুলে সফরকারীদের গুটিয়ে দেয় ২৮৬ রানে।
তাইজুল ইসলাম ও ইবাদত হোসেনের বোলিং ঝলকে সফরকারীরা অলআউট হয় তিনশর আগেই। তাইজুলের শিকার ৭ উইকেট। ইবাদত হোসেন ২টি। একটি উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষটায় হতাশায় কাটাতে হয় বাংলাদেশকে। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান তুলে বাংলাদেশের ৩৩০’কে সামান্য পুঁজিই মনে করাচ্ছিলেন আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক।
প্রথম সেশনে চার ও দ্বিতীয় সেশনে ছয় উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ২৬৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের সকালে শফিক (৫২) এলবিডব্লিউ হন তাইজুলের বলে। এদিন কোনো রান যোগ করতে পারেননি অভিষিক্ত ব্যাটার। তাইজুলের পরের বলে একইভাবে আউট হন আজহার আলি। টাইগার বাঁহাতি স্পিনার জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা।
পরে মেহেদী হাসান মিরাজ বোলিংয়ে এসেই প্রতিপক্ষ অধিনায়ক বাবর আজমকে (১০) বোল্ড করেন। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে তৃতীয় সাফল্যের দেখা পান তাইজুল। লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ফাওয়াদ আলমকে (৮)।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে বাংলাদেশের বোলিং কিছুটা নির্বিষ ছিল। ইবাদতের বোলিং দেখায় আশার আলো। দ্রুত উইকেট হারিয়ে অল্পতেই শেষ হয় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস।