ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট আর টি-টুয়েন্টি সিরিজে খালেদ মাহমুদ সুজন ছিলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। বাংলাদেশ দল হেড কোচ না পাওয়ায় আদতে কোচের দায়িত্বটাই সামলেছেন সাবেক এ অধিনায়ক। সফরকারীদের কাছে স্বাগতিকরা নাকানিচুবানি খাওয়ার পর হারিয়েছেন পদও। শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে আগের ভূমিকা ম্যানেজার হিসেবে পেতে চাইছে বিসিবি। কিন্তু সুজন যাবেন কিনা সেটি নিয়েই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদ হারানোর সময়টাতে ব্যস্তই আছেন খালেদ মাহমুদ। চলমান প্রিমিয়ার লিগে দুটি দলের কোচের দায়িত্বে তিনি। সেটি রেখে শুধু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতে শ্রীলঙ্কা যাবেন কিনা সেটি নিয়েই অনিশ্চয়তা। কেননা একই পরিস্থিতিতে আগে তিনি দলের সঙ্গী হননি।
গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চলার সময় আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে যাননি সুজন। সেসময় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে যাননি। পরে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস হন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার। সেবার শুধু আবাহনীর কোচ ছিলেন সুজন। এবার আবাহনী ও শাইনপুকুরের। দুটিই বেক্সিমকো ফার্মার মালিকানাধীন ক্লাব।
শ্রীলঙ্কা যেতে ইতোমধ্যেই অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন সুজন। তিনি নাকি অন্য কেউ লঙ্কায় যাবেন টাইগার দলের সঙ্গে শুক্রবার সেটির সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি।
শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকার ইচ্ছাপোষণ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই। সোমবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি নিজে সবকিছু দেখভাল করার জন্য শ্রীলঙ্কায় থাকছি। ওদের সঙ্গে থাকব সারাক্ষণ। তারপরও সুজন যদি যায় সব সময় যে দায়িত্বে ছিল সেটাতেই থাকবে, ম্যানেজার হিসেবে।’