বড় ম্যাচে সেরা একাদশে খুব একটা সুযোগ পান না তিনি। সুযোগ পেলে কী করতে পারেন বুধবার রাতে তার একটা ম্যাসেজ দিয়ে রাখলেন ড্যানিশ সুয়ারেজ। স্প্যানিশ তারকার আগুনে পুড়েছে কালচারাল লিওনেসা। তাতেই কোপা ডেল রে’র শেষ ষোলোতে উঠে গেছে বার্সেলোনা।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠে কালচারাল লিওনেসাকে ৪-১ গোলে হারায় বার্সা। দলের হয়ে সুয়ারেজের জোড়া গোলের সঙ্গে একটি করে গোল করেছেন মুনির আল হাদ্দাদি ও ম্যালকম। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ৫-১। প্রথম লেগে কাতালানরা জিতেছিল ১-০ গোলে। প্রথম লেগে লিওনেসার মাঠে ১-০ গোলের ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছিল বার্সা। তবে ব্যবধান কম হলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে পাওয়া গোল বেশ খানিকটা এগিয়েই রেখেছিল তাদের।
রোববার এস্পানিওলের বিপক্ষে কাতালান ডার্বি জন্য এই ম্যাচে বিশ্রাম দেয়া হয় মেসি ও জেরার্ড পিকেকে। তবুও নিজেদের মাঠে চেনা দর্শকদের সামনে লিড নিতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি কোপা ডেল রে’র বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ১৮ মিনিটেই মুনির আল হাদ্দাদির গোলে এগিয়ে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচের ক্রস থেকে দুর্দান্ত গোল করেন স্প্যানিশ তারকা।
২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ড্যানিশ সুয়ারেজ। এবারও যোগানদাতা রাকিটিচ। প্রথমার্ধেই তৃতীয় গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। ৪৩ মিনিটে ম্যালকমের গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত করে স্বাগতিকেরা। হেড থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে ব্যবধান কমান ইয়ুসেপ সেনে। জটলা থেকে পাওয়া সেনের গোলেও স্বস্তি পায়নি অতিথিরা। ৭০ মিনিটে ড্যানিশ সুয়ারেজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান আরও বাড়লে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সফরকারীরা।
বড় ব্যবধানে জিতেও ম্যাচ শেষে কিছুটা চিন্তার ভাঁজ বার্সেলোনার কপালে। ম্যাচের শেষদিকে ইনজুরিতে পড়েছেন ম্যালকম। পরে তাকে মাঠই ছেড়ে যেতে হয়। ম্যালকম নিয়ে বার্সেলোনার ইনজুরির তালিকাটা আরও লম্বা হল। ইনজুরির কারণে আগে থেকেই সাইডলাইনে আছেন লুইস সুয়ারেজ, স্যামুয়েল উমতিতি, সার্জিও রবের্তো ও রাফিনহা।
বার্সার রাতে কোপার শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও। সান্ট আন্দেরিউকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ডিয়েগো সিমিওনের দল। দলের হয়ে গোল করেছেন থমাস লেমার, নিকোলা কালিনিক, অ্যাঞ্জেল কোরেয়া ও ভিটোলো।
সবচেয়ে বড় জয়টা অবশ্য পেয়েছে ভিয়ারিয়াল। লিগে আগের ম্যাচে বার্সার কাছে হারলেও কোপার ম্যাচে অ্যালমেরিয়াকে তারা হারিয়েছে ৮-০ গোলে। সেল্টাভিগোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ, মালোরোকার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে রিয়াল ভ্যালাদোলিদ। ভিলানোভেন্সের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টের জয় পেয়েছে সেভিয়া। আর দেপোর্তিভো আলাভেজের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে জিরোনা।