বক্সের বাইরে থেকে মেসির নেয়া শট ঠেকাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে বসলেন ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক নেতো। বল হাত ফসকে তার দুপায়ের ফাঁক গলে গোললাইন পেরিয়ে যায়। দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি বাইরেও ঠেলে দেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গেছে। বল গোললাইনের প্রায় ইঞ্চি পাঁচের ভেতরে চলে গেছে। উদযাপনে ব্যস্ত বার্সেলোনা ফুটবলাররা। এমন সময় তাদের অবাক করে গোল হয়নি বলে রায় দিয়ে বসলেন রেফারি!
রোববার রেফারির এমন কাণ্ডে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২ পয়েন্ট হারিয়েছে বার্সেলোনা। আর ম্যাচে দায়িত্বরত রেফারিরা যেন আরও একবার দেখিয়ে দিলেন প্রযুক্তিগত দিক থেকে কতটা পিছিয়ে লা লিগা।
ইউরোপের অন্য বড় লিগগুলো যখন সাদরেই বরণ করে নিচ্ছে গোললাইন প্রযুক্তি, তখন লা লিগা কর্তৃপক্ষ যেন কম্বল মুড়িয়ে শীতঘুমে ব্যস্ত। বিগত কয়েক বছর ধরে গোললাইন প্রযুক্তি কাজে লাগানোর জন্য দাবি করে আসছে স্প্যানিশ লিগে খেলা দলগুলো। কিন্তু লা লিগা কর্তাদের ব্যাপারটা অনেকখানি এমন ‘কানে ঢুকিয়েছি তুলো, পিঠে ঝুলিয়েছি মুলো।’
গত মৌসুমেও রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হারিয়েছিল বার্সা। মৌসুম শেষে সেই পয়েন্ট হারানোর ব্যথা হারে হারে টের পেয়েছে কাতালান দলটি। মাত্র ৩ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে লিগ শিরোপা জিতে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ।
ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের পর সেই কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন জর্ডি আলবা। রেফারিদের ভুল এড়াতে গোল লাইন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা জানালেন বার্সা ডিফেন্ডার, ‘গত মৌসুমেও রিয়াল বেটিসের কাছে আমরা এভাবে পয়েন্ট হারিয়েছিলাম। ভিডিওতে দেখা গেছে পরিষ্কার গোল ছিল। এভাবে চলতে পারে না। গোললাইন প্রযুক্তির প্রয়োজন।’
গোললাইন প্রযুক্তি নিয়ে হাহাকার অতীতেও ছিল স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের, প্রয়োগ না হওয়াটা হয়ত আরও অনেকটা সময় চলতেই থাকবে। কিন্তু যাদের কাজ প্রযুক্তিকে মাঠে কাজে লাগানো, সেই লা লিগা কর্তৃপক্ষের শীত ঘুম ভংবে কিনা সেটাই প্রশ্ন করছে ভুক্তভোগী বার্সা।