যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে কনসার্টে ভয়াবহ হামলাকে ‘স্পষ্টতই শয়তানের কাজ’ বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ৫৯ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছেন।
নিহতদের স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় দফায় হামলারও দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আইএস।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ দেখলো গোটা বিশ্ব। লাস ভেগাসে কনসার্টে হামলার পর নিহতের স্মরণে হোয়াইট হাউজে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। পরে শোক বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যেকোন পরিস্থিতে মার্কিনীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বুধবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলেও জানান।
হামলাকারী ৬৪ বছর বয়সী স্টিফেন প্যাডোকের ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, স্টিফেন প্যাডোক পেশাদার জুয়াড়ি ছিল। হামলাকারীর নেভাদার বাড়ি থেকে আরও ১৮টি বন্দুক, কয়েক হাজার গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া প্যাডোকের সহযোগী এশীয় নারী ম্যারিলো ড্যানলির খোঁজে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এই হামলার ঘটনার পর ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতাদের কঠোর বন্দুক আইনের আহ্বানের পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন অতি দ্রুত বিবেচনার কথা বলেছেন হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স।
অন্যদিকে কনসার্টে হামলার দায় স্বীকার করে সাইট ইন্টেলিজেন্স ও সেন্ট্রাল নাসির গ্রুপে বিবৃতি দিয়েছে আইএস। সংস্থাটির পরিচালক রিটা কাৎজ টুইটারে আইএসের দায় স্বীকার করার কথা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, হামলাকারী কয়েক মাস আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
তবে আইএসের ওই দাবি প্রত্যাখান করেছে এফবিআই। তারা বলছে, হামলার সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সংগঠন জড়িত নয়। এর পরপরই হামলাকারীর নাম আবু আব্দুল আল বারমিকি জানিয়ে নিজেদের সদস্য বলে দাবি করে আইএস।
ভয়াবহ এই হামলায় হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’সহ বিশ্ব নেতারা। নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এছাড়া কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারও।