প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে বের্নার্দো সিলভা ও সুপার সাব লেরয় সানের গোলে ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। রেড ডেভিলদের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এদিন নীল ঢেউ তুলে ম্যাচ জয়ের ফলে লিভারপুলকে ১ পয়েন্ট পেছনে ঠেলে আবারও প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শীর্ষে চলে গেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। যার অর্থ শেষ তিন ম্যাচ জিতলেই টানা দ্বিতীয়বারের জন্য শিরোপা উঠবে স্কাই ব্লুজদের মাথায়।
এভার্টনের কাছে ০-৪ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া একাদশে এদিন পাঁচ-পাঁচটি পরিবর্তন এনে ডার্বিতে অভিযান শুরু করেন ম্যানইউ কোচ ওলে গানার সোলশেয়ার। ম্যানইউ ফুটবলারদের বাড়তি উদ্যমে প্রথমার্ধে বেশকিছু গোলের সুযোগও এনে দেয়। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাব, সিটি গোলকিপারের কারণে গোলের দেখা পায়নি রেড ডেভিলরা।
বিরতির কিছুটা আগে থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যানসিটি। প্রথমার্ধে সিলভার বাঁ-পায়ের ভলি কিংবা গোলের খুব কাছ থেকে স্টার্লিংয়ের সহজতম সুযোগ ডি গিয়ার হাতে প্রতিহত হয়। সবমিলিয়ে প্রথমার্ধের শেষে স্কোরশিটে নাম তুলতে ব্যর্থ হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
৫৪ মিনিটে গুন্দোয়ানের বল ধরে বক্সের মধ্যে বের্নার্দো সিলভার বাঁ-পায়ের শট ম্যানইউ’র স্প্যানিশ গোলকিপারকে পরাস্ত করে ঢুকে যায় জালে। গোল পেয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সার্জিও আগুয়েরোর দূরপাল্লার শট এরপর পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। যদিও দ্বিতীয় গোল পেতে বেশি সময় নেয়নি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৬৬ মিনিটে রহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ানো বল ধরে বাঁ-পায়ের জোরাল শটে ডি গিয়াকে পরাস্ত করে স্কোরলাইন ২-০ করেন সুপার সাব লেরয় সানে।
বাকি সময়টা স্কোরলাইন অপরিবর্তিত না হওয়ায় দু’গোলে জিতেই মাঠ ছাড়ে গার্দিওলার শিষ্যরা। একইসঙ্গে ১ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে লিগ টেবিলে আবার শীর্ষস্থান দখল করে নেয় তারা।
ম্যানইউর মতো এদিন মাঠে নেমেছিল আর্সেনালও। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে অবনমনের আওতায় থাকা দলের কাছে হেরে যায় তারা। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবার ধাক্কা। অ্যাওয়ে ম্যাচে উল্ভসের কাছে হেরেছে উনাই এমেরির দল। প্রথমার্ধেই ঘরের মাঠে তিন গোল করে উল্ভস। শেষ পর্যন্ত যা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
৩৫ ম্যাচ থেকে সিটির সংগ্রহ ৮৯ পয়েন্ট। অন্যদিকে খারাপ সময় অব্যাহত ম্যানইউর। এভার্টনের পর ডার্বি হেরে লিগে প্রথমচারে শেষ করারও এখন প্রশ্নের মুখে। ৩৫ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে তারা। ৩৫ ম্যাচ থেকে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে চেলসি।