ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টুয়েন্টি শেষ করেই বাংলাদেশ গেছে জিম্বাবুয়েতে টেস্ট খেলতে। দেশে লাল বলে প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ হয়নি তেমন কারোরই। তাইতো টাইগার টেস্ট অধিনায়ক বেশ চিন্তায় ছিলেন দলের যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে।
জিম্বাবুয়ে গিয়ে একটা দিন হোটেলে (কোয়ারেন্টাইন) কাটিয়ে পরেরদিন থেকেই অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। যা ব্যাটে-বলে কাজে লাগানোর সুযোগ টিম টাইগার্স অধিনায়ক মুমিনুল হককে দিচ্ছে দারুণ আত্মবিশ্বাস।
‘আমি এই দিকটা (টি-টুয়েন্টির পর টেস্ট) নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি চিন্তাটা অনেকদূর কেটে গেছে। এখানে আসার পর এক সপ্তাহ ধরে লাল বলে অনুশীলন করছি। প্রস্তুতি ম্যাচটাতে সবাই খুব ভালো করেছে। তাই যে ঘাটতি ছিল সেটা এখন নেই, আশা করি টেস্ট ম্যাচটা ভালো কাটবে।’
‘প্রস্তুতি খুব ভালো হয়েছে। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটসম্যান-বোলাররা সবাই ভালো করেছে। তাই আমরা টেস্ট ম্যাচেও ভালো কিছু আশা করছি। আর শুধু জিম্বাবুয়েতে না, যেকোনো দেশেই অ্যাওয়ে ম্যাচ চ্যালেঞ্জিং হয়। তবে প্রস্তুতির দিক থেকে আশাবাদী যে, পাঁচ দিন ভালো ক্রিকেট খেললে অবশ্যই ফল আমাদের দিকে আসবে।’
জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি দারুণ হলেও টেস্টের আগেরদিন সকাল পর্যন্ত সফরকারীরা ম্যাচের উইকেট দেখতে পারেনি। যে কারণে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে উইকেট প্রসঙ্গে মনের কথাও বলতে পারেননি মুমিনুল। সাংবাদিকদের জানাতে পারেননি দলীয় পরিকল্পনার নানা বিষয়।
‘আসলে উইকেট না দেখে তো বলা কঠিন। কিন্তু যখন হারারেতে খেলেছিলাম, সাত-আট বছর আগে, তখন দেখেছিলাম পেসাররা খুব ডমিনেট করেছে। শেষ দু-একটা সিরিজে জিম্বাবুয়ে এই উইকেটে পেসার-স্পিনাররা সবাই ডমিনেট করেছে, বা সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু এখন উইকেট না দেখে কিছু বলাটা কঠিন।’
‘বেশিরভাগ সময় এটা (টিম কম্বিনেশন) নির্ভর করে কন্ডিশনের উপর। বাংলাদেশে আমরা স্পিনার বেশি খেলাই, বিদেশে পেসার বা ব্যাটসম্যানরা বেশি থাকে। এটা নির্ভর করে কন্ডিশন ও উইকেটের উপর, ৫ বা ৪ বোলারের সঙ্গে ৬ বা ৭ ব্যাটসম্যান হতে পারে দলে।’
‘এখানে চাপ কিছু না, এটাকে আমি ইতিবাচক দিকে দেখছি, উপভোগ করছি। এমনিতে দলের অধিনায়ক হিসেবে একটু তো চাপ থাকবেই। আমাদের এসব চিন্তা বাদ দিয়ে দল হিসেবে খেলতে হবে।’
বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে টাইগার-জিম্বাবুয়ে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি।