লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের আদিতমারীতে স্বর্ণামতি সেতুটি সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মান না হওয়ায় মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। চলাচলের অনুপোযোগী ঘোষণা করা হলেও বেইলী ব্রীজ বানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে হাজারো যানবাহন। প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে স্বর্ণামতি নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ হয় ১৯৬০ সালে। জেলা সদরের সাথে ৪ টি উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটি দীর্ঘদিনেও পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার হয়নি। এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে সেতুটি। এরইমধ্যে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ৩০ জনের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্বর্ণামতি ব্রিজটা তাদের জন্য একটা মরণ ফাঁদ। প্রতিনিয়তই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। কখনো ট্রাক আটকে যায়, কখনো ট্রাক খাঁদে পড়ে যায়। এই ব্রিজ এত খারাপ যে গাড়ি চালানো যায় না। এই সেতুর পাশ দিয়ে আরেকটি বাইপাস সেতু হচ্ছে। সেটাতো আরেকটা মরণ ফাঁদ।
অস্থায়ীভিত্তিতে নির্মিত বেইলী ব্রীজটির উপর দিয়ে ৫ টনের বেশী পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার নিষেধ থাকলেও মানছে না কেউই। স্থল বন্দর বুড়িমারী থেকে স্বর্ণামতি সেতু দিয়েই চলাচল করে পণ্যবাহী যান। ফলে স্টিল ও লোহার পাটাতন প্রায়ই নষ্ট হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকছে যান চলাচল।
জেলার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রী’এর সভাপতি এস এ হামিদ বাবু বলেন, দ্রুত এই সেতুটি নির্মাণ করে এই অঞ্চলে আমুল পরিবর্তন আনার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্বর্ণামতি সেতু পূর্ণঃনির্মানের দাবীতে এলাকায় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যে স্বর্ণামতি ব্রিজের সাবস্টিটিউট রোড, একটা বেইলী ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। বেইলী ব্রিজটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই এই ব্রিজের কনস্ট্রাকশন শুরু হবে।
স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে, বরাদ্দ পেলেই স্বর্ণামতি সেতু পুনর্নির্মাণ সম্ভব। জেলার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, আমরা আশা করছি আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে প্রকল্পটা অনুমোদিত হয়ে যাবে। অনুমোদন হয়ে গেলেই আমরা টেন্ডারে চলে যাবো। দ্রুততম সময়ে এই জনদুর্ভোগ দুর করা যাবে।
সেতুটি ভেঙ্গে পড়লে যে কোন সময় সারা দেশের সাথে যোগোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে লালমনিরহাটের চার উপজেলা।